2021 সালের পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। আপনি কি ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ উত্তর খুজছেন? তাহলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারেন। কেননা আমাদের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণ বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে প্রশ্ন সংগ্রহ করে এর নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ সমাধান তৈরি করেছে। যা ছাত্রীদের পরীক্ষায় পূর্ণ নম্বর পেতে সহযোগিতা করবে। আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট এর লিখিত উত্তরের পাশাপাশি এর পিডিএফ এবং জেপিজি ফাইল ডাউনলোড করে নিতে পারেন। এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় সপ্তাহে সিমেন্টের উত্তর পেতে নিচের অংশ ভালভাবে পড়ুন।
এসএসসি ব্যাচ 2021 ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় সপ্তাহের প্রশ্ন
অনেক ছাত্র-ছাত্রী আছে যারা কিনা শুধুমাত্র অ্যানসার দেখে কোন প্রশ্নের উপর অ্যানসার তৈরি করা হচ্ছে তা নির্ণয় করতে সমস্যার সম্মুখীন হন। তাই আমরা শুরুতে আবারো ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশ করেছি। যাতে করে ছাত্রছাত্রীরা কোনরকম দ্বিধা দ্বন্দ্ব ছাড়া এই সিকুয়েন্সিয়াল উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। দ্বিতীয় সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন নিচে দেওয়া হল।
অধ্যায় শিরোনাম:
অ্যাসাইনমেন্টঃ
- প্রয়ােজনে পাঠ্যপুড়ক, শিক্ষক (ফোনে/অনলাইনে), ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা যেতে পারে।
- ঋতু পরিবর্তনের কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে ঋতু পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর চারটি অবস্থার চিত্রসহ ব্যাখ্যা করতে হবে।
- সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতুর ব্যাখ্যা করতে হবে।
এসএসসি পরীক্ষার্থী 2021 ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে উত্তর
এসএসসি 2021 সালের পরীক্ষার অংশগ্রহণকারী মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের ভূগোল ও পরিবেশ দ্বিতীয় সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর নিচে প্রদান করা হলো।
উত্তরঃ
সাইনমেন্ট নংঃ ২ এসাইনমেন্ট শিরােনামঃ সূর্যকে পরিমণকালে পৃথিবীর ৪টি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিবেদন।
প্রতিবেদকের নামঃ
প্রতিবেদকের ঠিকানাঃ
প্রতিবেদনের তারিখঃ
সূর্যকে পরিভ্রমণকালে পৃথিবীর ৪টি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতু পরিবর্তন বিষয়ক প্রতিবেদন।
ঋতু পরিবর্তনের কারণ :
পৃথিবীতে আলাে ও তাপ এর উৎস হল সূর্য। ভূপৃষ্ঠে সারাবছর সূর্যরশ্মি সমানভাবে পড়ে না। লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি ও তীর্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মির কারণে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানে সারা বছর ধরে উষ্ণতা হ্রাস বৃদ্ধি দেখা যায়। উষ্ণতার তারতম্য অনুসারে বছরকে কয়েকটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রত্যেকটি ভাগ কে ঋতু বলে৷ ঋতুর পর্যায় ক্রমিক পরিবর্তন কে ঋতু পরিবর্তন বলে। এই ঋতু পরিবর্তনের ৫টি কারণ সম্পর্কে নিম্নে আলােচনা করা হল। SIZETOZZI
(১) পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে দিবারাত্রির তারতম্যের জন্য উত্তাপের হ্রাস-বৃদ্ধি : পৃথিবীর ঘূর্ণনের কারণে সূর্য পৃথিবীর যে গােলার্ধের নিকট অবস্থান করে তখন সেই গােলার্ধে দিন বড় এবং রাত ছােট। তার বিপরীত গােলার্ধেরাত বড়, দিন ছােট। পৃথিবী দিনের বেলায় তাপ গ্রহণ করেফলে ভুপৃষ্ঠ উত্তপ্ত হয় এবং রাতের বেলায় বিকিরণ করে শীতল হয়।
তথন একটি স্থানে বড় দিনে ভূপৃষ্ঠ যে তাপ গ্রহণ করে ছােট রাতে সে তাপ পুরােটা বিকিরণ করতে পারে না। ঐ স্থানে সঞ্চিত তাপের কারণে আবহাওয়া উষ্ণ হয় এবং তাতে গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়া পরিলক্ষিত হয়। বিপরীত গােলার্ধে রাত বড় এবং দিন ছােট হওয়াতে দিনের বেলায় যে তাপ গ্রহণ করে রাতের বেলায় সব তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা অনুভূত হয় তখন শীতকাল।
(২) পৃথিবীর গােলাকার আকৃতি : পৃথিবী গােল, তাই পৃথিবীর কোথাও সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে আবার কোথাও তির্যকভাবে পড়ে। ফলে তাপমাত্রার পার্থক্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তিত হয়।
(৩) পৃথিবীর উপবৃত্তাকার কক্ষপথ: পৃথিবীর আবর্তন পথ উপবৃত্তাকার তাই বছরের বিভিন্ন সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর। দূরত্ব কমবেশি হয়। এতে তাপমাত্রার পার্থক্য হয়, তাই ঋতু পরিবর্তিত হয়।
(৪) পৃথিবীর কক্ষপথে কৌণিক অবস্থান : সূর্যকে পরিক্রমণের সময় নিজ কক্ষতলের সঙ্গে পৃথিবীর মেরুরেখা সমকোণে না থেকে ৬৬.৫° কোণে হেলে একই দিকে অবস্থান করে। এতে বছরে একবার পৃথিবীর উত্তর মেরু ও সূর্যরশ্মি খাড়াভাবে দক্ষিণ মেরু সূর্যের নিকটবতী হয়৷ যে গােলার্ধ যখন সূর্যের দিকে ঝুঁকে থাকে সে গােলার্ধে সূর্য লম্বভাবে কিরণ দেয়। তার তাপমাত্র তথন বেশি হয় এবং দূরে গেলে তাপমাত্রা কম হয়, ফলে ঋতু পরিবর্তন ঘটে।
(৫) বার্ষিক গতির কারণে পৃথিবীর বার্ষিক গতির জন্য সূর্যকিরণ বিভিন্ন স্থানে কমবেশি পড়ার কারণে বায়ুমন্ডলের তাপমাত্রার পার্থক্যঘটছে৷ ফলে বিভিন্ন জলবায়ুর বিভিন্ন দেখা যায়। একে ঋতু পরিবর্তন বলে ।
ঋতু পরিবর্তনে পৃথিবীর চারটি অবস্থাঃ বার্ষিক গতির জন্য সূর্যরশ্মি কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও তির্যকভাবে পতিত হয় এবং দিবা-রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে। সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থান থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা নিচের চিত্র হতে পাওয়া যায়।
উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকাল :
২১শে জুন সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন। এই দিন সূর্যরশ্মি কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে পতিত হয়। ফলে ঐ দিন এখানে দীর্ঘতম দিন এবং ক্ষুদ্রতম রাত্রি হয়৷২১শে জুনের দেড় মাম পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মােট তিন মাস উত্তর গােলার্ধেউত্তাপ বেশি থাকে। এ সময় উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল। এ সময়ে সূর্যের তির্যক কিরণের জন্য দক্ষিণ গােলার্ধে দিন ছােট ও রাত বড় হয়। এজন্য সেখানে তখন শীতকাল।
উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে বসন্তকাল :
২৩শে সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিবা-রাত্রি সমান হয়। সেজন্য এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মােট তিন মাস তাপমাত্রা মধ্যম ধরনের হয়ে থাকে। এ সময় উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে রমন্তকাল।
উত্তর গােলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল :
২২শে ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছােট হয়। এ তারিখের দেড় মাস পূর্বেও পরে দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গােলার্ধে শীতকাল থাকে।
উত্তর গােলার্ধে বসন্তকাল ওদক্ষিণ গােলার্ধে শরৎকাল :
২১শে মার্চ তারিখে উত্তর ও দক্ষিণ মেরু সূর্য থেকে সমান দূরে থাকে। এই দিন সূর্য নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে কিরণ দেয় এবং সর্বত্র দিন-রাত্রি সমান হয়। ২১শে মার্চের দেড় মাস পূর্ব থেকে। দেড় মাস পর পর্যন্ত এই তিন মাস উত্তর গােলার্ধেমন্তকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শরৎকাল থাকে।
ঋতু পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদেশে বিরাজমান ঋতুর ব্যাখ্যাঃ বাংলাদেশ ভৌগােলিকভাবে উত্তর গােলার্ধে অবস্থিত। এখন ঋতু পরিবর্তন প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর চারটি অবস্থায় বাংলাদে বিরাজমান ঋতুর ব্যাখ্যা করা হলাে
উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকাল :
বাংলাদেশ উত্তর গােলার্ধে হওয়ায় ২১শে জুন এখানে দীর্ঘতম দিন এবং ক্ষুদ্রতম রাত্রি হয়। এই ২১শে জুনের আগের দেড় মাম মে-জুন হওয়ায় বাংলাদেশে গ্রীষ্মকাল থাকে কারণ মে থেকে মধ্যজুন এদেশে গ্রীষ্মকাল এবং পরের দেড় মাস জুনজুলাই হওয়ায় বর্ষকাল থাকে কারণ মধজুন হতে জুলাই এদেশে বর্ষাকাল।
উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধেবসন্তকাল :
২৩শে সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিবা-রাত্রি সমান হয়। এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব অর্থাৎ আগষ্টসেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে বর্ষাকাল ও শরৎকাল বিরাজ করে কারণ আগষ্ট ও মধ্য সেপ্টেম্বর মাসে দেশে বর্ষকাল ও শরৎকাল থাকে এছাড়াও পরের দেড় মাস অর্থাৎ মধ্য সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবরে শরৎকাল ও হেমন্তকাল বিরাজ করে কারণ মধ্য সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে বাংলাদেশে শরৎ ও হেমন্ত কাল।
উত্তর গােলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল :
২২শে ডিসেম্বর দুই গােলার্ধে দিনরাত সমান হয়। এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বরে দেশে হেমন্তকাল ও শীতকাল বিরাজ করে কারণ নভেম্বর থেকে মধ্য ডিসেম্বর এলশ হেমন্ত ও বসন্তকাল। এবং পরেরও দেড়মাস অর্থাৎ মধ্য ডিসেম্বর-জানুয়ারীতে তীব্র শীতকাল দেখা যায় কারণ মধ্য ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারী এদেশে শীতকাল।
উত্তর গােলার্ধে বসন্তকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শরৎকাল :
২১শে মার্চ তারিখে উত্তর ও দক্ষিণ দুই গােলার্ধেই দিনরাত্রী সমান হয় । এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব অর্থাৎ ফেব্রুয়ারী থেকে মধ্য মার্চে বাংলাদেশে শীতকাল ও বসন্তকাল বিরাজ করে কারণ ফেব্রুয়ারী থেকে মধ্যমার্চ এদেশে শীত ও বসন্তকাল। এবং পরের দেড় মাস অর্থাৎ মধ্য মার্চ থেকে এপ্রিলে দেশে পুরােপুরি বসন্তকাল বিরাজ করে কারণ মার্চ-এপ্রিল এদেশে বসন্তকাল।
মূল কথাঃ
আমরা ঘোষণা দিচ্ছে যে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং পরিপূর্ণ। যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইটের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণ দ্বারা প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর তৈরি করা হয়। এবং ক্লাস ভিত্তিক বোর্ড বই ও স্বনামধন্য রেফারেন্স বই থেকে সংগ্রহ করা হয়। তাই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের বোর্ড পরীক্ষায় A+ সহ সর্বোচ্চ নম্বর পাওয়ার নিশ্চয়তা প্রদান করে। তবুও মানুষ যেহেতু ভুলের ঊর্ধ্বে নয় তাই।অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তরে ছোটখাটো কোনো ভুল ধরা পড়লে অবশ্যই কমেন্ট বক্স এর মাধ্যমে জানাবেন।
আরও দেখুনঃ
এসএস সি অর্থনীতি ১ম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2021। পরীক্ষার্থী ব্যাচ 2021
সকল পোস্টের আপডেট পেতে নিচের ফেসবুক আইকনে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেইজে জয়েন করুন।