এসএসসি 2021 সালের পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভূগোল ও পরিবেশ অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। যার প্রশ্ন ইতোমধ্যে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। বরাবরের মতো এবারও আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের বিষয়ে অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা ভূগোল ও পরিবেশ অষ্টম সপ্তাহের নির্ধারিত এসাইনমেন্টের নির্ভুল উত্তর তৈরি করেছে তারা শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নম্বর পেতে সহযোগিতা প্রদান করবে। নিচে উত্তর প্রদান করা হলো।
এসএসসি 2021 ভূগোল ও পরিবেশ অষ্টম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট উত্তর
অষ্টম সপ্তাহের নির্ধারিত ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর এর পূর্বের প্রশ্নের ছবি এবং তার নিচে উত্তর প্রকাশ করা হলো। ফলে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন নং অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। নিচে অষ্টম সপ্তাহের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্ন এবং উত্তর দুটোই দেওয়া হল।
অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরােনাম
অষ্টম অধ্যায়:
মানব বসতি অ্যাসাইনমেন্ট
কৃষি এলাকার সাথে মানব বসতির বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন।
নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি) |
- কৃষি এলাকার বসতি স্থাপনের নিয়ামকের বর্ণনা।
- গ্রামীণ বসতি ও নগর বসতির ধরণ বর্ণনা কৃষি এলাকার বসতির নাম উল্লেখ করে এ বসতির ধরণ ও বিন্যাস বর্ণনা
উত্তরঃ
তারিখঃ ০৬-০৯-২০২১ ইং
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক,
উচ্চ বিদ্যালয় দোহার, ঢাকা।
বিষয়ঃ কৃষি এলাকার সাথে মানব বসতির বিশ্লেষণমূলক একটি প্রতিবেদন।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে,আপনার আদেশনং ই.উ.বি. ১৫৪-৮ তারিখঃ ০১-০৯-২০২১ অনুসারে ‘কৃষি এলাকার সাথে মানব বসতির বিশ্লেষণমূলক আমার নিজের তৈরি একটি প্রতিবেদন নিম্নে পেশ করছি।
“‘কৃষি এলাকা ও মানব বসতি”
ক) কৃষি এলাকার বসতি স্থাপনের নিয়ামকঃ
নিম্নে কৃষি এলাকার বসতি স্থাপনের নিয়ম গুলাে তুলে ধরা হলােঃ
১। ভূপ্রকৃতি :জনবসতি গড়ে ওঠার পেছনে ভূপ্রকৃতি ব্যাপকভাবে প্রভাব বিস্তার করে। সমতলভূমিতে কৃষিকাজ সহজে করা যায়, কিন্তু পাহাড় এলাকার ভূমি অসমতল হওয়ায় কৃষিকাজ করা তেমন সম্ভব হয় না। ফলে যাতায়াতের সুবিধার জন্য কৃষিজমির নিকটে জনবসতি তৈরি হয়। বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বসতির ঘনত্ব সমতলভূমির তুলনায় কম।
২. পানীয় জলের সহজলভ্যতা :জীবন ধারণের জন্য মানুষের প্রথম ও প্রধান চাহিদা হলাে বিশুদ্ধ পানীয় জল। এজন্যই নির্দিষ্ট জলপ্রাপ্যতার স্থানে মানুষ বসতি গড়ে তােলে। মরুময় এবং উপমরুময় অঞ্চলে ঝরনা অথবা প্রাকৃতিক কূপের চারদিকে মানুষ সংঘবদ্ধ হয়ে বসতি স্থাপন করে। পানীয় জলের প্রাপ্যতার উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা এই সমস্ত বসতিকে আর্দ্র অঞ্চলের বসতি বলে।
৩। মাটি: মাটির উর্বরা শক্তির উপর নির্ভর করে বসতি স্থাপন করা হয়। উর্বর মাটিতে পুঞ্জীভূত জনবসতি গড়ে ওঠে, কিন্তু মাটি অনুর্বর হলে বিক্ষিপ্ত জনবসতি গড়ে ওঠে। মাটির প্রভাবে জার্মানি, পােল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন প্রভৃতি দেশে বিক্ষিপ্ত জনবসতির সষ্টি হয়েছে।
৪. প্রতিরক্ষা : প্রাচীনকালে প্রতিরক্ষার সুবিধার জন্যই মানুষ পুঞ্জীভূত বসতি স্থাপন করে। বহিরাগত শত্রুর আক্রমণ বা বন্যজন্তুর হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষ একত্রে বসবাস করত। কারণ প্রাচীনকালে আত্মরক্ষার জন্য কোনাে আধুনিক অস্ত্রের প্রচলন ছিল না।
৫। পশুচারণ:পশুচারণ এলাকায় সাধারণত ছড়ানাে বসতি দেখা যায়। পশুচারণের জন্য বড় বড় এলাকার দরকার হয়। ফলে নিজেদের সুবিধার জন্য তারা বিক্ষিপ্তভাবে বসতি স্থাপন করে থাকে।
৬.যােগাযােগ : প্রাচীনকাল থেকে যাতায়াত ব্যবস্থার উপর ভিত্তি করে বসতি গড়ে উঠছে। যেমন- নদী তীরবর্তী স্থানে নৌচলাচলের এবং সমতলভূমিতে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় এরূপ স্থানগুলােতে পুঞ্জীভূত বসতি গড়ে উঠেছে। মিসরের নীল নদের তীরবর্তী আলেকজান্দ্রিয়া ও তাজিকিস্তানের সমতলভূমিতে সমরকন্দ নগরের উৎপত্তি হয়েছে।