৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৪র্থ সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টে নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয় সপ্তাহ শ্রেণীর 2022 শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তোমরা এইতো মধ্যে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন পেয়েছো। আজ আমরা তার নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর তৈরি করে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছি। ফলে শিক্ষার্থীরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট এর উত্তর ডাউনলোড করে এসাইনমেন্ট তৈরি করে নিতে পারবে।
আপনি কি ৬ষ্ঠ শ্রেণীর 2022 শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী? অথবা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন পেয়েছেন কিন্তু উত্তর পাইনি? আমরা দিচ্ছি সবার আগে সর্বপ্রথম ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর। ফলে শিক্ষার্থীরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে উত্তর সংগ্রহ করে খুব সহজেই এসাইনমেন্ট তৈরি করে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে যেতে পারে। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেতে নিচের অংশ ভালভাবে দেখুন।
৬ষ্ঠ শ্রেণী [৪র্থ সপ্তাহ] বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন
যেহেতু এসাইনমেন্ট তৈরি করার পূর্বে অবশ্যই প্রশ্ন দেখে ভালোভাবে বুঝে এসাইনমেন্ট তৈরি করা উচিত। তাই আমরা উত্তরের পূর্বে প্রশ্ন নিয়ে কিছুটা আলোচনা করেছি যাতে করে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই প্রশ্ন বুঝে পরবর্তীতে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে উত্তর ডাউনলোড করে অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করে নিতে পারে। তাই শুরুতে প্রশ্ন এবং প্রশ্নের নিচে উত্তর দেওয়া হল। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন নিচে দেওয়া হল।
অ্যাসাইনমেন্ট (শিরােনামসহ)
সিন্ধু সভ্যতা, উয়ারী-বটেশ্বর ও মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলাে উন্নতমানের প্রাচীন ঐতিহ্যকে প্রমাণ করে”- বিষয়টির বিশ্লেষণ
শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ
- বাংলাদেশের প্রাচীন সভ্যতার স্বরূপ ব্যাখ্যা করতে পারবে;
- নগর সভ্যতা। হিসেবে বাংলাদেশের উয়ারী-বটেশ্বরে। প্রাপ্ত বিভিন্ন নিদর্শন বর্ণনা করতে পারবে;
- নগর সভ্যতা হিসেবে পুন্ড্রনগরের (মহাস্থানগড়) বিভিন্ন নিদর্শন বর্ণনা করতে পারবে।
অ্যাসাইনমেন্ট প্রণয়নের নির্দেশনাঃ
- নিচের ধাপ অনুসরণ করে অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করতে হবে।
- ভারতীয় উপমহাদেশের সিন্ধু সভ্যতার বৈশিষ্ট্য লিখতে হবে।
- উন্নত নগর পরিকল্পনার সাথে সিন্ধু সভ্যতার সাদৃশ্য বের করে লিখতে হবে।
- “উয়ারী-বটেশ্বর ও মহাস্থানগড়ে প্রাপ্তি নিদর্শনগুলাে আমাদের উন্নত ঐতিহ্যের প্রমাণ করে”- বিশ্লেষণ লিখতে হবে।
৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় [৪র্থ সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
প্রিয় সপ্তাহ শ্রেণীর 2022 শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এতক্ষণ নিশ্চয় ভাবতেছ প্রশ্ন তো দেখলাম কিন্তু উত্তর কোথায়? তাই চলো আর দেরী না করে তোমাদের ৪র্থ সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দেখে নেয়া যাক।
উত্তরঃ
“সিন্ধু সভ্যতা, উয়ারী-বটেশ্বর ও মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নির্দশনগুলাে উন্নতমানের প্রাচীন ঐতিহ্যকে প্রমাণ করে”-বিষয়টির বিশ্লেষণ।
ক. ভারতীয় উপমহাদেশের সিন্ধু সভ্যতার ৪টি বৈশিষ্ট্য নিচে তুলে ধরা হলােঃ
১। উন্নত নগর পরিকল্পনা: সিন্ধু সভ্যতা বা হরপ্পা সভ্যতা ছিল একটি নগরকেন্দ্রিক সভ্যতা। এই সভ্যতার কয়েকটি উল্লেখযােগ্য কেন্দ্র যেমন- হরপ্পা, মহেঞ্জোদারাে, লােথাল, প্রভৃতি অঞ্চলে উন্নত নগর পরিকল্পনা দেখা দেয়। নগরগুলির নির্মাণ প্রণালী ছিল আধুনিক যুগের মতাে। প্রতিটি নগর ছিল দুর্গ দ্বারা বেষ্টিত।
২। রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি: সােজা ও চওড়া রাজপথ ছিল সিন্ধু সভ্যতার উল্লেখযােগ্য একটি বৈশিষ্ট্য। প্রতিটি বড় রাস্তার সঙ্গে গলিপথগুলি সমকোণে যুক্ত থাকত। রাজপথ গুলি ১ থেকে ৩৪ ফুট পর্যন্ত চওড়া হত।
৩। শস্যাগার ও স্নানাগার: সিন্ধু সভ্যতার নগর গুলিতে সাধারণ জনগণের ব্যবহারের জন্য কিছু বিশেষ স্থাপত্য গড়ে উঠতে দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, হরপ্পায় আবিষ্কৃত শস্যাগারটির কথা। যার আয়তন ছিল ২০০ x ১৫০ বর্গফুট।
৪। ধর্মীয় জীবন: সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা শিবের পূজা ছাড়াও মাতৃদেবতা এবং প্রকৃতির পূজা করতাে। সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা নদী, গাছ, পাথর প্রভৃতির পূজাও করতাে। সিন্ধু সভ্যতার মানুষেরা পরলােকে বিশ্বাস করত।
খ. উন্নত নগর পরিকল্পনার সাথে সিন্ধু সভ্যতার সাদৃশ্যঃ
নিচে উন্নত নগর পরিকল্পনার সাথে সিন্ধু সভ্যতার ৪টি সাদৃশ্য উপস্থাপন করা হলাে:
১) রাস্তাঘাটঃ প্রাচীন সভ্যতা হলেও সিন্ধু সভ্যতার নগরী ভিতর দিয়ে পাকা রাস্তা ছিল। বর্তমানে উন্নত নগর সভ্যতায় আমরা পাকা রাস্তাঘাট দেখতে পারি।
২) জল নিষ্কাশনঃ একটি উন্নত নগর পরিকল্পনার অন্যতম প্রধান উপাদান হলাে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থা। সিন্ধু সভ্যতায় জল নিষ্কাশন এর জন্য ছােট ছােট নর্দমা গুলােকে বড় নর্দমার সঙ্গে যুক্ত করে দো হতাে। ঠিক তেমনি বর্তমান উন্নত নগর পরিকল্পনায় যে ছােট ছােট নর্দমা রয়েছে যেগুলােকে। বড় খালের সঙ্গে যুক্ত করে দেয়া হযেছে।
৩) রাস্তার পাশে বাতির ব্যবস্থা আমাদের উন্নত নগর পরিকল্পনায় পাকা রাস্তার ধারে বাতি ব্যবহার করা হয়েছে যাতে রাতের বেলায় লােকজন স্বাচ্ছন্দ্যের চলাফেরা করতে পারে। এমনিভাবে সিন্ধু সভ্যতার নগরীর রাস্তার পাশে সারিবদ্ধ ভাবে ল্যাম্পপােস্ট ব্যবহার করা হতাে।
৪। পয়:নিষ্কাশল প্রণালী ব্যবস্থা বর্তমানে উন্নত লগর পরিকল্পনায় যেমন পয়ঃনিষ্কাশন প্রণালীর ব্যবস্থা করা হয়েছে তেমনি সিন্ধু সভ্যতাতেও পয়:নিষ্কাশন প্রণালীর যে ব্যবস্থা ছিল তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
গ, “উয়ারী-বটেশ্বর ও মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলাে উন্নত ঐতিহ্যের প্রমাণ”-বিশ্লেষণঃ
উয়ারী-বটেশ্বর নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার দুইটি গ্রামের বর্তমান নাম। প্রাচীন ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত উয়ারী-বটেশ্বর গ্রামে আড়াই হাজার বছর আগে গড়ে উঠেছেল নগর সভ্যতা। উয়ারী-বটেম্বর ছিল সেই নগর সভ্যতার নগর কেন্দ্র। আড়াই হাজার বছর পূর্বে গড়ে উঠা নগর সভ্যতা একদিন ধ্বংস হয়; মাটির নিচে চাপা পড়ে। পরবর্তীতে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে জমি চাষ, গর্ত খনন প্রভৃতি গৃহস্থালির কাজে ভূমির মাটি ওলট-পালট হয়। প্রাচীন নিদর্শন ভূমির উপর চলে আসে। দীর্ঘদিন পর ২০০০ সাল খেকে উয়ারী-বটেশ্বর অঞ্চলে প্রত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা শুরু হয়। প্রতি বছর উৎখননে পাওয়া গেলে মূল্যবান প্রত্নবস্তু, সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধঙর হচ্ছে বাংলাদেশের সভ্যতার ইতিহাস।
অপরদিকে ২৪০০ বছর আগে বগুড়া শহর থেকে প্রায় ১৮ কিলােমিটার উত্তরে করতােয়া নদীর তীরে উঠে , Tস্থানগড় (পুন্ড্রনগর)। নগর ছিল ধন-সম্পদে পরিপূর্ণ। তাই দুর্গপ্রাচীর ও পরিখা দ্বারা সেটি ছিল সুরক্ষিত। কালের পরিক্রমায় পুন্ড্রনগর ধ্বংস হয়ে মাটির নিচে চাপা পড়ে টিপি ও জঙ্গলে পরিণত হয়। পুন্ড্রবর্ধনের রাজধানী ছিল পুন্ড্রনগর। ফলে বহু বাণিজ্যিক ও সাংস্কৃতিক লেনদেনেও ঘটেছিল। সপ্তম শহকে চীন দেশের পরিব্রাজক ও ধর্মযাজক হিউযেন সাঙ পুন্ড্রনগর এলাকার ২০টি বৌদ্ধবিহার এবং ১০০টি ব্রাক্ষন্য মন্দির দেখেছিলেন। পরিশেষে আমরা বলতে পারি, উয়ারী-বটেশ্বর ও মহাস্থানগড়ে প্রাপ্ত নিদর্শনগুলাে উন্নত ঐতিহ্যের প্রমাণ।