নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন  প্রণয়ন কর।

আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ৮ম শ্রেণীর 2021 শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক ১৭ তম সপ্তাহে এসাইনমেন্ট এর সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করছি। যার প্রশ্ন ইতিমধ্যে আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি। আপনি যদি ৮ম শ্রেণীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ের ১৭ তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর পূর্ণাঙ্গ উত্তর চান তাহলে আমাদের এই পোষ্ট টি আপনার জন্য।

৮ম শ্রেণি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি [১৭তম সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

প্রিয় ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা নিচে আপনাদের জন্য ১৭ তম সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্নের ছবি এবং তার পরবর্তীতে উত্তর দেওয়া হল।

অ্যাসাইনমেন্টঃ

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার ও সংশ্লিষ্ট যন্ত্রপাতি সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন  প্রণয়ন কর।

নির্দেশনাঃ

প্রতিবেদনটি তৈরির ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে-

  1. প্রারম্ভিক অংশ: মূল শিরােনাম, প্রাপকের নাম ঠিকানা, সূত্র বিষয়ের সংক্ষিপ্ত সার নির্দেশক কথা।
  2. প্রধানঅংশ: বিষয়ঃসম্পর্কে ভূমিকা, মূলপ্রতিবেদন (দৈনন্দিন জীবনে নেটওয়ার্কের ব্যবহার, নেটওয়ার্ক, সার্ভার, ক্লায়েন্ট, মিডিয়া, নেটওয়ার্ক এডাপ্টার, রিসাের্স, ইউজার, প্রটোকল, হৰি, সুইচ, রাউটার, মডেম, ল্যান কার্ড), উপসংহার ও সুপারিশ।
  3. পরিশিষ্ট; তথ্য নির্দেশ, গ্রন্থ বিবরণী ও আনুসঙ্গিক বিষয়াদি।

উত্তরঃ

২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১,

বরাবর,

প্রধান শিক্ষক

গাজিপুর সরকারি স্কুল

(যার কাছে প্রতিবেদন পেশ করব তাকে সম্বােধন করবে)

বিষয় : নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার সম্পর্কিত প্রতিবেদন।

জনাব,

আপনার দ্বারা আদিষ্ট হয়ে (স্মারক নং ১৭/খ.উ. বি.) অনুসারে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ অনুসারে নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার সম্পর্কিত প্রতিবেদন পেশ করা হলাে

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার:

মানুষ সামাজিক জীব। আদিকাল থেকে মানুষ নানা ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একসঙ্গে সামাজিকভাবে থাকতে শিখেছে। সমাজের সবার কিছু দায়িত্ব থাকে এবং সবাই মিলে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে শিখে। সভ্যতার বিকাশের পর সামাজিকভাবে একসঙ্গে থাকার বিষয়টিও নতুন মাত্রা পেয়েছে। বর্তমানে তথ্য প্রযুক্তিতে যে নেটওয়ার্কের জন্ম হয়েছে, সেটিও আমাদের জীবনে একটা নতুন মাত্রা যােগ করেছে। আমরা অতীতে যে কাজগুলাে করতাম, আজকাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সেই একই কাজ অন্যভাবে করতে শিখেছি। নেটওয়ার্কের সবচেয়ে বড় ব্যবহার হচ্ছে তথ্যকে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা। আগে একটি তথ্য সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া অসম্ভ ও কঠিন একটি কাজ ছিল।

এখন মুহূর্তের মধ্যে একটি তথ্য শুধু যে নিজের পরিচিতদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পারি তা নয়, সেটি সারা দেশে, এমনকি সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে পারি। শুধু তাই নয়, একসময় তথ্য ছিল সম্পদের মতাে। যার কাছে তথ্য যত বেশি, সে তত ক্ষমতাশালী। নেটওয়ার্কের কারণে এ ধারণাটা পুরােপুরি পাল্টে গেছে। এখন তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত। বিশেষ বিশেষ প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিশেষ তথ্যর্কে নিজের বিশেষ বিশেষ প্রতিষ্ঠান বিশেষ বিশেষ তথ্যকে নিজের জন্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ করে কিন্তু অন্যান্য সাধারণ তথ্য এখন সবার জন্য উন্মুক্ত। খুব সাধারণ একজন মানুষ আর সবচেয়ে ক্ষমতাশালী মানুষ দুজনেরই পৃথিবীর তথ্যভাণ্ডারে সমান অধিকার। দুজনেই একই তথ্যভাণ্ডার থেকে একই তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।

নেটওয়ার্ক দিয়ে তথ্যকে উপস্থাপন করার কারণে সারা পৃথিবীতেই নতুন একধরনের কর্মকাণ্ড শুরু হয়েছে। একসময় যে তথ্যগুলাে কাগজে সংরক্ষণ করতে হতাে। এখন সেটি ডেটাবেসে সংরক্ষণ করা হয়। আগে সেই তথ্যগুলাে কাগজ ঘেটে মানুষকে খুঁজে বের করতে হতাে; কাজটি ছিল নিরানন্দময় এবং সময় সাপেক্ষ। এখন কম্পিউটারে আঙুলের টোকায় নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যে কেউ ডেটাবেসে তথ্য রাখতে পারে, প্রয়ােজন অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারে। নেটওয়ার্ক মানুষের জীবনকে করেছে সহজ ও সুন্দর।এর একটি উদাহরণ হচ্ছে বিমানের টিকেট। এক সময় বিমানের যাত্রীদের টিকিট হাতে নিয়ে বিমানবন্দরে যেতে হতাে। এখন সারা পৃথিবীতে ই-টিকিটের প্রচলন হয়েছে এবং বিমানের কোনাে যাত্রীকে আর বিমানের টিকিট হাতে করে নিতে হয় না।

বিমানের কর্মকর্তারা যাত্রীর পরিচয় থেকে সরাসরি তার টিকিটের তথ্য পেয়ে যান এবং যাত্রীদের বিমান ভ্রমণের র ব্যবস্থা করে দেন। সেই দিনটি আর বেশি দূরে নয়, যখন কাউকে আর নিজের পাসপাের্টটি সাথে নিয়ে ভ্রমণ করতে হবে। যখন প্রয়ােজন হবে, তখন তার আঙুলের ছাপ কিংবা চোখের রেটিনা স্ক্যান করে ডেটাবেস থেকে তার সকল তথ্য বের করে নিয়ে আসা হবে।

নেটওয়ার্কের সাথে সম্পর্কিত এরকম কিছু যন্ত্রপাতির হলাে:

সার্ভার:

সার্ভার নাম শুনেই বুঝতে পারছ এটা করে। অর্থাৎ সার্ভার হচ্ছে শক্তিশালী কম্পিউটার যেটি নেটওয়ার্কের অন্য কম্পিউটারকে নানা রকম সেবা দিয়ে থাকে। একটি নেটওয়ার্কে কিন্তু একটি নয় অনেকগুলাে সার্ভার থাকতে পারে।

ক্লায়েন্ট :

কেউ যদি অন্য কারাে কাছ থেকে কোনাে ধরনের সেবা নেয়, তখন তাকে ক্লায়েন্ট বলে। কম্পিউটার নেটওয়ার্কেও ক্লায়েন্ট শব্দটির অর্থ মােটামুটি সেরকম। যে সব কম্পিউটার সার্ভার থেকে কোনাে ধরনের তথ্য নেয় তাকে ক্লায়েন্ট বলে। যেমন মনে কর, তুমি তােমার কম্পিউটার থেকে নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে . ই-মেইল পাঠাতে চাও। তাহলে তােমার কম্পিউটার হবে ক্লায়েন্ট। নেটওয়ার্কের যে কম্পিউটারটি “ইমেইল পাঠানাের কাজটুকু তােমার জন্য করে দেবে সেটা হবে সার্ভার”- এ ক্ষেত্রে এ সার্ভারটি হল ইমেইল সার্ভার।

মিডিয়াঃ

যে বস্তু ব্যবহার করে কম্পিউটার গুলাে জুড়ে দেওয়া হয় সেটা হচ্ছে মিডিয়া। বৈদ্যুতিক তার, কোএক্সিয়াল তার, অপটিক্যাল ফাইবার ইত্যাদি মিডিয়া হতে পারে। কোনাে মিডিয়া ব্যবহার না করেও তার বিহীন (যেমন- Wi-Fi) Wi-Fi পদ্ধতিতে কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে জুড়ে দেওয়া যায়।

রিসাের্সঃ

ক্লায়েন্টের কাছে ব্যবহারের জন্য যে সকল সুযােগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তার সবই হচ্ছে রিসাের্স। কম্পিউটারের সাথে যদি একটি প্রিন্টার কিংবা একটি ফ্যাক্স মেশিন লাগানাে হয় সেটি হচ্ছে রিসাের্স। কম্পিউটার দিয়ে কেউ যদি সার্ভারে রাখা একটি ছবি আর্কার সফটওয়ার ব্যবহার করে সেটিও রিসাের্স। যারা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা আর্কার সফটওয়ার ব্যবহার করে সেটিও রিসাের্স। যারা নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে তারা শুধু যে রিসাের্স গ্রহণ করে তা নয়, তােমার কাছে যদি কোনাে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে বা মজার ছবি থাকে এবং সেটি যদি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্যরাও ব্যবহার করতে থাকে তাহলে তােমার কম্পিউটারও একটি রিসোর্স ব্যবহার থাকবে।

ইউজার:

সার্ভার থেকে যে ক্লায়েন্ট রিসাের্স ব্যবহার করে, সে-ই ইউজার (user) বা ব্যবহারকারী।

প্রটোকলঃ

ভিন্ন ভিন্ন কম্পিউটারকে একসাথে যুক্ত করতে হলে অন্য কম্পিউটারের যােগাযােগ করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতে হয়। এসব নিয়ম মেনেই তথ্য আদান-প্রদান করতে হয়। যারা নেটওয়ার্ক তৈরি করে তারা আগে থেকেই ঠিক করে নেয়, কোন ভাষায়, কোন নিয়ম মেনে এক কম্পিউটার অন্য কম্পিউটারের সাথে যােগাযােগ করবে। এই নিয়মগুলােই হচ্ছে প্রটোকল। যেমন ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য প্রটোকল হলাে hyper text transfer protocol (http)

প্রতিবেদকের নাম :

ও প্রতিবেদনের শিরােনাম:

নেটওয়ার্কের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার

প্রতিবেদন তৈরির স্থান : গাজিপুর সরকারি স্কুল,তিতাস,কুমিল্লা

প্রতিবেদন তৈরির সময় ও তারিখ: সকাল ১১ ঘটিকা, ২৬ সেপ্টেম্বর রবিবার।

See More: 

৮ম শ্রেণি বাংলা [১৭তম সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান। ৮ম শ্রেণি বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট 2021

Check Also

বাংলাদেশের লােকশিল্পের বিলুপ্তির কারণ এবং লােকশিল্প সংরক্ষণের উপায়।

৮ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট এর নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয়  ৮ম শ্রেণীর …