এইচএসসি 2022 সালের পরীক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত যুক্তিবিদ্যা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন এবং এর পরিপূর্ণ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয় এইচএসসি শিক্ষার্থীরা, আপনারা যারা এইচএসসি প্রথম সপ্তাহের যুক্তিবিদ্যা অ্যাসাইনমেন্টের প্রথম সপ্তাহের নির্ভুল এবং পরিপূর্ণ উত্তর খুঁজছেন তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ওয়েবসাইট থেকে যুক্তিবিদ্যা অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মাদ বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন এবং পরিপূর্ণ সমাধান নিচের অংশে তুলে ধরেছে। যুক্তিবিদ্যা উত্তর পেতে পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
আরও দেখুনঃ
এইচএসসি প্রথম সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান পেতে এখানে ক্লিক করুন।
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা প্রথম সপ্তাহের নির্ধারিত প্রশ্ন 2021
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধানের পরিপ্রেক্ষিতে সর্বপ্রথম প্রশ্ন তুলে ধরা হলো। আপনারা অ্যাসাইনমেন্ট লেখার পূর্বে অবশ্যই খাতার উপরে প্রশ্ন লিখে পরবর্তীতে অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর লিখবেন। এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা প্রথম সপ্তাহে প্রকাশিত অ্যাসাইনমেন্টের নির্ধারিত প্রশ্ন বা কাজ নিচে তুলে ধরা হলো।
অ্যাসাইনমেন্টঃ
যুক্তিবিদ্যার ধারণায় এর পরিধি পাওয়া যায় পর্যালোচনা করো।
অধ্যায়ঃ
প্রথম অধ্যায়ঃ যুক্তিবিদ্যা পরিচিতি
শিখনফলঃ
- যুক্তিবিদ্যার উৎপত্তি ও বিকাশ এর ইতিহাস বর্ণনা করতে পারবে।
- যুক্তিবিদ্যার ধারণা বর্ণনা করতে পারবে।
- বিভিন্ন যুক্তিবিদ এর প্রদত্ত ধারণা বিশ্লেষণ ও তুলনা করতে পারবে।
- যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ বিশ্লেষণ করতে পারবে।
- যুক্তিবিদ্যা আদর্শনিষ্ঠ না বস্তুনিষ্ঠ বিজ্ঞান তা মূল্যায়ন করতে পারবে।
- যুক্তিবিদ্যা পরিসর বর্ণনা করতে পারবে।
নির্দেশনাঃ
- যুক্তিবিদ্যার উৎপত্তি
- যুক্তিবিদ্যার ধারণা
- এরিস্টোটল
- জে এস মিল
- যোসেফ
- আই এম কপি।
- যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ
- যুক্তিবিদ্যার পরিসর
এইচএসসি যুক্তিবিদ্যা প্রথম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট পরিপূর্ণ উত্তর
১.যুক্তিবিদ্যার উৎপত্তিঃ
যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ
অ্যারিস্টোটলের মতেঃ
অ্যারিস্টোটল যুক্তিবিদ্যাকে জ্ঞানের পদ্ধতি নির্দেশকারী প্রারম্ভিক বিজ্ঞান বলেছেন। তার মতে যুক্তিবিদ্যার কাজ হলো জ্ঞানের পদ্ধতি নির্দেশ করা। জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রতিটি শাখা প্রশাখা সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি অনুসরণ করে, সেটা কলা কিংবা বিজ্ঞান যাই হোক না কেন। আর যুক্তিবিদ্যা চিন্তার বিজ্ঞান হিসেবে এসবের জন্য নিয়ম-নীতি সরবরাহ করে। যুক্তিবিদ্যার কাজেই হলো একটি চিন্তা বা আলোচনা কিভাবে সঠিক প্রক্রিয়ায় ব্যক্ত করা যায় তার নির্দেশ করা কিংবা কিভাবে উত্থাপন করলে তাকে বৈধ বা অবৈধ বলা যাবে তা বলে দেয়া। এ কারণেই এরিস্টোটল যুক্তিবিদ্যা প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন।
জেএস মিল এর যুক্তিবিদ্যার ধারণাঃ
জেএস মিল যুক্তিবিদ্যা ও নীতিবিদ্যার ক্ষেত্রে অনন্য অবদান রাখেন। তিনি মনে করেন যে অবরোহ ও আরোহ যুক্তি বিদ্যার এ দুটি শাখার নিয়মেই হলো সত্য জ্ঞান অনুসন্ধান করা। তার মতে অবরোহ যুক্তি বিদ্যাঃ প্রতিষ্ঠিত সত্যের আলোকে আমাদের সত্ত অনুসন্ধানকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে এবং বিজ্ঞানের যুক্তিবিদ্যা আরোহ যুক্তিবিদ্যা সত্ত আবিষ্কারের জন্য আমাদেরকে প্রয়োজনীয় নিয়ম সরবরাহ করে। মিল তার A System of Logic গ্রন্থে যুক্তিবিদ্যার সংজ্ঞায় বলেন যুক্তিবিদ্যা হল আমাদের জ্ঞানগত প্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য এমন বিজ্ঞান যা বিচার বা প্রমাণ এর মাধ্যমে জ্ঞান সত্ব থেকে অজ্ঞাত সত্যে উপনীত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বুদ্ধিগত কাজ ও বৌদ্ধিক ক্রিয়ার মানসিক প্রক্রিয়া সমূহ সম্পর্কে আলোচনা করে।
জোসেফ এর ধারণাঃ
ব্রিটিশ অধ্যাপক হোরেস উইলিয়াম ব্রিন্ডলে জোসেফ তার A Introduction to logic বইয়ের যুক্তিবিদ্যার স্বরূপ নির্ধারণ করার চেষ্টা করেন। জোসেফ মনে করেন যে যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান হিসেবে নিজস্ব আলোচনা বিষয়ের মূলনীতির ব্যাখ্যা করে। যেমন যুক্তিবিদ্যা সংজ্ঞা নিয়ম, যৌক্তিক বিভাজন এর মূলনীতি, অনুমান এর নিয়মাবলী নিয়ে আলোচনা করে। জোসেফ এর মতে যুক্তিবিদ্যা এমন একটি বিজ্ঞান যা চিন্তার সাধারণ নিয়ম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করে।
যুক্তিবিদ্যার স্বরূপঃ
যুক্তিবিদ্যা আমাদেরকে যেমন যুক্তি ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন শিক্ষা দেয়, তেমনি সেগুলো প্রয়োগ পদ্ধতি শেখায়। তাই যুক্তিবিদ্যার যেমন বিজ্ঞান তেমনি কলাবিদ্যা। বিজ্ঞান হল কোন নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসারে প্রকৃতির কোন একটি বিষয়কে পদ্ধতিগতভাবে জানা। জ্ঞান অর্জনে হল বিজ্ঞানের মূল লক্ষ্য। কলাবিদ্যা হল কোন বিশেষ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য আমাদের অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তব ক্ষেত্রে কাজে লাগানো। কলার কাজ হলো কাজের দক্ষতা অর্জন করা। যুক্তিবিদ্যা একটি গান শাখা হিসেবে আমাদেরকে তাত্ত্বিক জ্ঞান দেয় এবং এই গানের চর্চার মাধ্যমে আমরা বিশেষ দক্ষতা অর্জন করি। তাই যুক্তিবিদ্যা বিজ্ঞান ও কলা ও উভয়ই।
যুক্তিবিদ্যার পরিসরঃ
যুক্তিবিদ্যার পরিধি অত্যন্ত ব্যাপক বলে এর আলোচনার বিষয়বস্তু অনেক বেশি। এর প্রধান আলোচ্য বিষয় হল ভাষায় প্রকাশিত চিন্তা। আর এজন্য যে বিষয়গুলো অনিবার্যভাবে এর আলোচনার আওতায় পড়ে তা হল চিন্তার মৌলিক সূত্র যুক্তিবাক্য ও তার শ্রেণীবিভাগ, পদ ও পদের ব্যাপকতা, যৌক্তিক বিভাজন, যৌক্তিক সংজ্ঞা, অনুমানের প্রক্রিয়া হিসেবে অবরোহ ও আরোহ নিরীক্ষণ, পরীক্ষণ, প্রকৃতির নিয়মানুবর্তিতা, নিয়ম, কার্যকারণ সম্পর্ক, প্রকল্প ব্যাখ্যাকরণ, প্রতীকী যুক্তিবিদ্যা এবং সর্বোপরি যুক্তির বৈধতা বিচার প্রণালী। প্রকৃতপক্ষে জ্ঞান-বিজ্ঞানের যেকোন শাখা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্তিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত।