এসএসসি 2022 সালের অর্থাৎ দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের পঞ্চম সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। যারা এসএসসি 2022 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে দশম শ্রেণীর 2022 সালের পঞ্চম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট এর পূর্ণাঙ্গ উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। যেহেতু আমাদের ওয়েবসাইটে প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট এর জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীরা উত্তর তৈরি করে থাকেন। তাই আপনি নির্দ্বিধায় আমাদের ওয়েবসাইট থেকে পঞ্চম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দাও করে নিতে পারেন। পঞ্চম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর পেতে নিচের অংশ ভালভাবে পড়ুন।
এসএসসি 2022 পঞ্চম সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন
ছাত্র-ছাত্রীদের বোঝার সুবিধার্থে অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর এর পূর্বে আমরা পঞ্চম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের নির্ধারিত প্রশ্ন তুলে ধরেছি। যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্ন বুঝে প্রশ্নের নং অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করে এসাইনমেন্ট তৈরি করে নিতে পারে।
প্রশ্নঃ
চতুর্থ অধ্যায়ঃ
বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ু।
অ্যাসাইনমেন্টঃ
সম্প্রতি সংঘটিত বিশ্বের কয়েকটি দেশের বড় ধরনের ভূমিকম্পের কারণ,উৎস ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তালিকা প্রস্তুত কর।বাংলাদেশে এ ধরনের কোনো ভূমিকম্প সংঘটিত হলে এবং বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হলে সেক্ষেত্রে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তোমার করণীয় সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন তৈরি করো।
শিখনফল/বিষয়বস্তুঃ
- ভূমিকম্পের ধারণা ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- কারণ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- ভূমিকম্পের ফলাফল ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- ভূমিকম্প ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ব্যাখ্যা করতে পারবে।
- ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সহযোগিতায় মনোভাব তৈরি করবে।
নির্দেশনাঃ
- সূচনা
- যেকোন ৪টি দেশের ভূমিকম্পের কারণ ও উৎস উল্লেখ করবে।
- ঐ৪টি দেশের ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি তালিকা তৈরি করবে (চিত্রসহ)।
- বাংলাদেশের মানচিত্র অঙ্কন করে ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করবে।
- .স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তোমার করণীয় (পাঠ্যপুস্তক,ইন্টারনেট, সংবাদমাধ্যম, বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করবে।)
- প্রতিবেদনের ধাপ অনুসরণ করে ৪০০ শব্দের মধ্যে প্রতিবেদন প্রণয়ন করতে হবে।
এসএসসি 2022 বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর
প্রিয় দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আপনি কি দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর চাচ্ছেন? তাহলে আপনি কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারছেন। চলুন দশম শ্রেণি এসএসসি 2022 সালের বিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর দেখে নেয়া যাক।
উত্তরঃ
তারিখঃ
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
বিদ্যালয়ের নাম
বিষয়ঃ বিশ্বের কয়েকটি দেশের বড় ধরনের ভুমিকম্পের কারন, উৎস ও ক্ষয়ক্ষতি সম্পর্কে তালিকা তৈরিপূর্বক বাংলাদেশে ভুমিকম্পে বিপুল ক্ষয়ক্ষতিতে নিজের করণীয় বিশ্লেষণ।
জনাব, বিনীত নিবেদন এই যে আপনার আদেশ নং ন স ম উ বি ৩৬৬-১, তারিখ-২৪-০৬-২০২১ অনুসারে উপরােক্ত বিষয়ের উপর প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করলাম।
সচুনাঃ
ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। পৃথিবীর বহু দেশে এক বহু অঞ্চলে এই প্রবণতা লক্ষ করা যায়। সত্যতার বহু ধ্বংসলীলার কারণ হিসেবে ভূমিকম্পকে দায়ী করা হয়। ধারণা করা হয়, গত ৪,০০০ বছরে ভূমিকম্পের সলীলায় পৃথিবীর প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ লােক মারা গেছে। নানা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় ভূপৃষ্ঠ পরিবর্তিত হচ্ছে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন যে, সূরে নিচের অংশে তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলাে থেকে তাপ বিচ্ছুরিত হয়। এই তাপ সঞ্চিত হয়ে পৃথিবীর অভ্যন্তরে পরিচলন স্রোতের সৃষ্টি হয় এবং সেখানে প্রবল শক্তি উৎপন্ন হয়ে ভূত্বকের বিভিন্ন অংশে আলােড়ন ও পরিবর্তন সাধন কাছে।
অভ্যন্তরীণ শক্তি দ্বারা ভূত্বকের এই পরিবর্তন আকমিক প্রক্রিয়া ও ধীর প্রক্রিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়। আকষিকতাবে পরিবর্তনকারী শক্কির মধ্যে ভূমিকম্প ও আশ্রয়শিরি প্রধান। কখনো কখনাে ভূপৃষ্ঠের কতক অশে হঠাৎ কোনো কারণে কেঁপে ওঠে। এরকম অত্যান্ত মৃদু থেকে প্রচণ্ড হয়ে থাকে, যা মাত্র কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী হয়। ভূপৃষ্ঠের এরূপ আকমিক ও ক্ষণস্থায়ী কম্পনকে ভুমিকম্প বলে। ভূতস্করের যে স্থানে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয় তাকে ভূমিকম্পের কেন্দ্র (Focs) বলে। কেন্দ্রের ঠিক সােজাসুজি উপরে ভূপৃষ্ঠের নাম উপকেন্দ্র (Epicenter) । কম্পনের বেশ উপকেন্দ্র হতে ধীরে ধীরে চরিদিকে কমে যায়।
৪টি দেশের ভূমিকম্পের কারন ও উৎস বর্ণনাঃ
ভালগিভিয়া, চিলিঃ
১৯৬০ সালে চিলির ভালগিভিয়া অঞ্চলে প্রায় ৯.৫ মাত্রার প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্প ঘাত হানে। পরবর্তীতে গবেষকরা জানান যে, এই ভূমিকম্পটির শক্তিমত্তা ছিল প্রায় ১৭৮ গিগাট্রন। ভূমিকম্পটি ভালদিভিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী হওযাই দ্বীপেও আঘাত হেনেছিল। প্রাথমিক ধাক্কাতেই প্রায় ৬ হাজার মানুষ মারা যাত্ৰ এ ভূমিকম্পে এবং ১ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ মাখিক ক্ষতি হয়। তবে ভূমিকম্প পরবর্তীতে আঘাতলাস্থ আরও আনক মানুষ মারা যায়।
সানসি, চীনঃ
চীনের শানসি প্রদেশের এ ভূমিকম্পটিকে বলা হয়, ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প। ১৫৫৬ সালের ২৩ জানুয়ারি চীনের শানসি প্রদেশকে কেন্দ্র করে এ ভূমিকম্পটি মােট ৯৭টি দেশে একযােগে অধ্যক্ত হােনছিল। বেশ কয়েকটি দেশের সমতল ভূমি প্রায় ২০ মিটার ডেবে গিয়েছিল। ৮.০ মাত্রার এই ভূমিকম্পটির শক্তিমত্তা এক গিগাট্রল হওয়া সত্ত্বেও এতে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। শানসি প্রদেশের মােট জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই এই ভূমিকম্পে মারা গিয়েছিল।
সুমাত্রা, ইন্দোনেশিয়াঃ
২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ভারতীয় মহাসাগরে সৃষ্ট ১৯,১ থেকে ১৯.৩ মাত্রার ভূমিকম্পটি ৩২ গিগাট্রন শক্তি নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রায় আঘাত হানে। পার্শ্ববর্তী দেশ মালদ্বীণ এবং থাইল্যান্ডেও এই ভূমিকম্পের ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় ভ্রায় আড়াই লাখ মানুষ রাতারাতি মারা যায় এবং আনুমানিক ৭ বিলিয়ন ডলার সমপরিমাপের স্কয়স্কৃতি হয়। তবে পরবর্তী সময়ে বিশ্লেষকরা জানান যে, ভূমিকম্পটি ৮ খােৰু ১০ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল।
জ্বলাম্বা উপদ্বীপ ভূমিকম্পঃ
২০২০ সালে জুলাই মানে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কেঁপেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দূরবর্তী। পশ্চিম আলাস্কা উপদ্বীন এলাকা। ৭.৮ মাত্রার এই ভূমিকম্পের পর সেখানে সুনামি সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে কলে জানিযােদ্ধ বার্তা সংস্থা, এএফপি। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে থেকে জানানাে হয়েছে, আন্তর্জাতিক মান সময় বুধবার সকাল ৬টা ১২ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। এর অবদান। আলাস্কার অ্যাঙ্কোরেজ এলাকা থেকে ৫০০ মাইল দক্ষিণ পশ্চিম এবং দূরবর্তী পেৱিভিল এলাকা থেকে ৬০ মাইল দুদ্ধিণ ও দুদ্ধিণপূর্বাঞ্চলে। ভূমিকম্পের পর প্রশান্ত মহাসাগরীয় সুনামি সতর্ক কেন্দ্র থেকে পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, “ভূমিকম্মটির মাত্রায় মানে হচ্ছে এর।
এপিসেন্টারের ৩০০ কিলােমিটারের মধ্যে উপকূলে সুনামি ঢেউযের সম্ভাবনা আছে। ”আলাস্কাল উপদ্বীপ এবং দক্ষিণ আলাস্কা এলাকায় সুনামি সতর্কতা দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ভূমিকম্পটি কয়েকশত মাইল দূর থেকেও টের পাওয়া গেচ্ছে বলে জানিয়েছে এএফপি। ভূমিকম্পের এপিসেন্টারের ৪০০ কিলােমিটার দূরের (হামার নামে এক বাসিন্দা বালন, “বিছানা ও জানালার পর্দা আনেকক্ষণ ধরেই দুলছিল। মনে হয়েছে অনেক লম্বা ঝাঁকুনি। এই অঞ্চলে ১৯৬৪ সালে ১২ মাত্রার ভয়াবহ এক ভূমিকম্প হযেছিল, যা এখন পর্যন্ত রেকর্ড মাত্রার। এর ফলে সৃষ্ট সুনামিতে ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েঘিল।
বাংলাদেশের ভূ-কম্পন এলাকাভিত্তিক মানচিত্রঃ
ভূ-কম্পন এলাকাভিত্তিক মানচিত্রে দেখা যায়, বাংলাদেশের ৪৩ % এলাকা ভূমিকম্পের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে (জোন-১: প্রলয়ঙ্করী), ৪১ % এলাকা মধ্যম (জোন -২: বিপজ্জনক) এবং ১৬ % এলাকা নিম্ন ঝুঁকিতে (জোন -৩: লঘু রয়েছে। যেখানে ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দের ভূ-কম্পন মানচিত্রে ২৬ % প্রলয়ঙ্করী , ৩৮ % বিপজ্জনক এবং ৩৬ % লঘু ঝুঁকিতে ছিলাে।