৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত অষ্টম সপ্তাহের চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন এবং নির্ধারিত কাজ প্রকাশিত হয়েছে। যা আজ বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে। আমাদের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণ অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট এর অবস্থান সপ্তাহের প্রশ্ন হাতে পাওয়ার সাথে সাথে এর সঠিক এবং নির্ভুল সমাধান তৈরি করেছে।
আপনি কি অষ্টম শ্রেণির অষ্টম সপ্তাহের চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ সমাধান খুঁজছেন? তাহলে আমাদের প্রকাশিত এই পোষ্ট টি আপনার জন্য। কেননা আমরা 2021 সালের মাধ্যমিক অ্যাসাইনমেন্ট প্রোগ্রামের শুরু থেকে সকল সপ্তাহের সকল বিষয় নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ সমাধান প্রকাশ করে আসছি। অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা অষ্টম সপ্তাহে সিমেন্টের পূর্ণাঙ্গ এবং নির্ভুল সমাধান ডাউনলোড করতে আমাদের পুরো পোস্টটি সম্পূর্ণরূপে পড়ুন।
অষ্টম শ্রেণি অ্যাসাইনমেন্ট 2021।
যেহুতু করণা মহামারীর কারণে অষ্টম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। তাই বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাসাইনমেন্ট কার্যক্রম চালিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দান করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড 2021 সালের প্রথম দিক থেকে এই পর্যন্ত সাত সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর কাজ প্রকাশ করেছে। আজ তারা আজ অষ্টম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর নির্ধারিত বিষয় এবং এর কাজ প্রকাশ করল।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রথম সপ্তাহ থেকে অষ্টম সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এর পূর্ণাঙ্গ সমাধান করে আসছি। আপনারা যারা অষ্টম শ্রেণীর ষষ্ঠ ও সপ্তম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সম্পন্ন করেন নি। তারা আমাদের ওয়েবসাইটের থেকে অষ্টম শ্রেণীর ষষ্ঠ এবং সপ্তম সপ্তাহের সকল বিষয়ের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। সবার আগে সর্ব প্রথম অষ্টম শ্রেণীর সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল উত্তর ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা [অষ্টম সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন ২০২১
অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা বিষয়ের উপরে পর্যন্ত অষ্টম সপ্তাহ দুসপ্তাহ এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশ করা হয়েছে। প্রথম সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত অ্যাসাইনমেন্ট অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা পাঠ্যপুস্তক এর প্রথম অধ্যায় থেকে সংগৃহীত করা হয়েছিল। বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা অষ্টম সপ্তাহে প্রকাশিত প্রশ্ন সংগ্রহ করে আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। কেননা অনেক শিক্ষার্থী এবং অভিভাবক আছেন যারা বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন সংগ্রহ করতে সমস্যা সম্মুখীন হন। আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সকল সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্নের পিডিএফ ফাইল সহ এবং লিখিত প্রশ্ন প্রকাশ করে থাকি। অষ্টম শ্রেণির অষ্টম সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন নিচে তুলে ধরা হলো।
অধ্যায় ও অধ্যায় শিরোনামঃ
বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে চারুশিল্প ও শিল্পীরা।
অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ
সার্বজনীন উৎসব হিসেবে বাংলা নববর্ষ উদযাপনের জন্য তোমার পরিবার এলাকায় কি ধরনের উৎসবের আয়োজন করতে পারবে তার একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করো।
সংকেতঃ
- বাংলা নববর্ষকে কেন সার্বজনীন উৎসব বলতে পারে ব্যাখ্যা করো।
- বাংলা নববর্ষ কিভাবে উদযাপন করো।
- তোমার এলাকায় বৈশাখী মেলা হয় কি না? হলে কী ধরনের পণ্য মেলায় বিক্রি হয়।
নির্দেশনাঃ
বিগত বছরগুলোতে তোমার পরিবার এলাকায় কিভাবে দিনগুলো উদযাপন করা হতো তার আলোকে লেখ।
৮ম শ্রেণির চারু ও কারুকলা এসাইনমেন্ট উত্তর
কোন রকম ঝামেলা ছাড়াই আপনারা অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ সমাধান ডাউনলোড করে নিতে পারেন। অষ্টম শ্রেণীর অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা চারু ও কারুকলা বিষয়ের ওপর তেমন গুরুত্ব প্রদান করে না। কিন্তু যেহেতু হয়েই অ্যাসাইনমেন্টে আপনাদের বোর্ড পরীক্ষার বিপরীতে নেওয়া হচ্ছে এবং অ্যাসাইনমেন্টের নম্বর এর উপর ভিত্তি করে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ করা হবে। তাই চারু ও কারুকলা বিষয়কে সহজভাবে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। অষ্টম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে চারু ও কারুকলা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করে পরবর্তীতে নিজ হাতে এসাইনমেন্ট খাতায় লিখে নিয়েছি স্কুলে জমা প্রদান করবে।
আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে যেসকল উত্তর প্রদান করে থাকে তা মূলত অষ্টম শ্রেণীর বোর্ড বই থেকে এবং বিশ্বস্ত রেফারেন্স বই থেকে সংগ্রহ করে থাকি। ফলে আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত উত্তর আপনাদের পূর্ণাঙ্গ নম্বর পেতে সহযোগিতা করবে। অষ্টম শ্রেণির চারু ও কারুকলা অষ্টম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
০১। বাংলা নববর্ষকে কেন সার্জনীন উৎসব বলতে পারি– তার ব্যাখ্যাঃ
বাঙালির নববর্ষ এক অনন্য বৈশিষ্ট্যময় উৎসব। কেননা পৃথিবীতে প্রচলিত অধিকাংশ বর্ষপঞ্জির উৎপত্তি কোনাে না কোনাে ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু বাংলা নববর্ষের সঙ্গে ধর্মীয় অনুষঙ্গ নেই। মূলত কৃষিকাজ ও খাজনা সংগ্রহের ব্যবস্থাকে ঘিরে এর প্রচলন। পরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের দেনা-পাওনার হিসাব মেটানাে। দিনে-দিনে পয়লা বৈশাখ হয়ে ওঠে এক সর্বজনীন সাংস্কৃতিক আনন্দ উৎসব।
ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে বাংলা ভূখণ্ডের সব মানুষের প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ। কবি দাউদ হায়দার ডয়েচ ভেলের স্প্যানিশ বিভাগের এক সাংবাদিককে বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনকে বাঙালির কার্নিভাল’ বলে উল্লেখ করেন। বাঙালির এ কার্নিভালে অসাম্প্রদায়িক দিকটি ফুটে ওঠে। বাংলাদেশ, ভারত ও প্রবাসী বাঙালির মধ্যে প্রাণ-সঞ্চারিত হয়। বেশ কিছু নতুন বিষয় সংযুক্ত হয় পহেলা বৈশাখকে ঘিরে। সাহিত্যেও প্রভাব রয়েছে বৈশাখের রুদ্ররূপ ও বিভিন্ন উৎসব নিয়ে। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল থেকে হালের কবিসাহিত্যিকগণ বৈশাখ নিয়ে কবিতা-সাহিত্য রচনা করছেন।
বাঙালি ‘হালখাতা’ নামে ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন করে হিসাব শুরু করে। বংলা নববর্ষে কলকাতা বা বাংলাদেশে বেচাকেনায় ছাড় বা বাট্টা দেওয়ার সংস্কৃতি আছে। কলকাতায় “চৈত্র সেল’ নামে পরিচিত। তবে বাঙালির এ উৎসব অসাধারণ বৈশিষ্ট্যময়। বাংলা নববর্ষের এ ঐতিহ্য মাটি ও মানুষের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। এখানে কোনো জাতিভেদ ও ধর্মভেদ নেই। ঢাকা ও কলকাতার পাশাপাশি প্রবাসে ও শহর-গ্রামে তরুণ-তরুণীসহ সবাই উৎসবে মেতে ওঠেন। রবীন্দ্রনাথের গানটি গেয়ে ওঠেন, “এসাে হে বৈশাখ। এজন্য বাংলা নববর্ষকে সার্জনীন উৎসব বলতে পারি।
০২। বাংলা নববর্ষ যেভাবে উদযাপন করা হয়ঃ
বাংলা নববর্ষ এ দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্য। পহেলা বৈশাখের উৎসবের মধ্যদিয়ে এ দেশের মানুষ এ ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে। বৈশাখী মেলায় সম্প্রদায় নির্বিশেষে মানুষের আনাগােনা। মৈত্রী-সম্প্রীতির এক উদার মিলনক্ষেত্র। নারী-পুরুষ, শিশু-কিশাের সবাই আসে মেলায়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিকিকিনির আশা আর বিনােদনের টান। কৃষিক্ষেত্রেও বৈশাখ মাসের গুরুত্ব অনেক। বৃক্ষের ক্ষেত্রেও নব উদ্যমে নতুন জীবন শুরু হয় নতুন পাতা গজিয়ে।
মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। সম্রাট আকবর সিংহাসন আরােহনের সময় (৯৬৩ হিজরি) ফসলি সন’ নামে যে সন প্রবর্তন করেন, তা কালক্রমে বাংলা সন’ নামে পরিচিতি লাভ করে। তখন হিজরি সনের ভিত্তিতে এ দেশে বছর গণনা হতাে। হিজরি বছর সৌর বছর থেকে ১১ দিন ছােট হওয়ায় কৃষির হিসাব-নিকাশ এলােমেলাে হয়ে যেত। এতে কৃষকদের ফসলি সন’ গণনায় সমস্যা তৈরি হয়। ফলে কৃষকের কাছ থেকে জমিদারের খাজনা আদায় করতেও সমস্যা দেখা দেয়। জমিদার ও কৃষকদের সুবিধার্থে, এ সমস্যা দূর করতে মূলত বাংলা সনের প্রবর্তন করা হয়। বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গ কৃষিপ্রধান দেশ। তাই বাংলা নববর্ষের উৎসবের আমেজটা কৃষকের একটু বেশিই থাকে।
বৈশাখের প্রথম সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের সামনে থেকে শােভাযাত্রা শুরু হয়। বৈশাখী সাজে নানা বাহারি মুখােশ, শােলার পাখি, টেপা পুতুল হাতে বৈশাখ” । নিয়ে ঢাক-ঢােল-বাঁশি বাজিয়ে হাজরাে মানুষ অংশ নেন মঙ্গল শােভাযাত্রায়। ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের উদ্যোগে পহেলা বৈশাখে এ মঙ্গল শােভাযাত্রার আয়ােজন শুরু হয়। ১৯৯১ সালে চারুকলার শােভাযাত্রা জনপ্রিয়তায় নতুন মাত্রা লাভ করে। ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো কর্তৃক ‘বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে’ হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছে এ সার্বজনীন শােভাযাত্রা।
ধর্ম, বর্ণ, জাতি, লিঙ্গ পরিচয় নির্বিশেষে সব পেশার, সব শ্রেণির মানুষ শামিল হন মঙ্গল শােভাযাত্রায় পহেলা বৈশাখ উদযাপনে অংশ নিতে আসা নারীদের মাথায় শােভা পায় ফুল, মুখে বৈশাখ” । আল্পনা, তরুণদের হাতে পতাকাসহ বিভিন্ন আয়ােজন আমাদের কষ্ট-দুঃখ ভুলিয়ে দেয়।
০৩। আমার এলাকায় বাংলা নববর্ষে যে ধরণের পন্য বিক্রি হয়ঃ
বাংলা নববর্ষ খুবই আনন্দমুখর উৎসব। স্থানীয় কৃষিজাত দ্রব্য, কারুপণ্য, লােকশিল্পজাত পণ্য, কুটির শিল্পজাত ইত্যাদি পণ্য এই মেলায় পাওয়া যায়। শিশু-কিশােরদের খেলনা, মহিলাদের সাজ-সজ্জার সামগ্রীসহ এই মেলায় তাদের জন্য আেরা অেনক বিশেষ সামগ্রী পাওয়া। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার খাদ্যদ্রব্য ও মিষ্টান্ন যেমন: চিড়া, মুড়ি, খৈ, বাতাসা ইত্যাদি এই মেলার বিশেষ আকর্ষণ।
এ ছাড়া খােলা মাঠের বিশাল পরিসরে, ছােটদের খেলনা, হাতে তৈরি বিভিন্ন মৃৎশিল্পের সামগ্রী এবং বিন্নি ধানের খই, মুড়ি, তিলুয়া, কদমা, বাতাস, জিলাপি, মিষ্টিসহ হরেক রকম খাদ্যসামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসতেন ব্যবসায়ীরা। পাওয়া যেত কাঠবাঁশের তৈরি গৃহস্থালি জিনিসপত্র থেকে শুরু করে প্রসাধনসামগ্রী পর্যন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে ঐতিহ্য হারাচ্ছে এসব গ্রামীণমেলা। এ ছাড়া রয়েছে হরেক রকমের হয়ঃ বাংলা আর হস্তশিল্পের বাহারি প্রদর্শনী। দেখা মেলে বাংলার ঐতিহ্য মাটির তৈরি বিভিন্ন পণ্যের। এ মেলা বাঙালির আনন্দঘন লােকায়ত সংস্কৃতির ধারক, আবহমান বাংলা ও বাংলাদেশের প্রতিমূর্তি। সময়ের প্রবাহে মােগল প্রবর্তিত বাংলা নববর্ষের উদযাপন-আয়ােজনে এসেছে পরিবর্তন। পরিবর্তন এসেছে চৈত্রসংক্রান্তি ও বৈশাখী মেলায়ও।
সকল পোস্টের আপডেট পেতে নিচের ফেসবুক আইকনে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেইজে জয়েন করুন।