নবম শ্রেণির পঞ্চম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন গত 30 মে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। নবম শ্রেণির বিজ্ঞান যেসকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট এর উত্তর খুজতেছো। তাদের জন্য নবম শ্রেণির পঞ্চম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এর উত্তর প্রকাশ করা হলো। তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট allexamresult.com থেকে নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এর উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারো।
৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহ বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট টপিক ২০২১
বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেশ ডট gov.bd প্রকাশিত আজকের উল্লেখিত বিষয়ে বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়। যা নবম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছাত্রীদের জন্য প্রযোজ্য। পঞ্চম সপ্তাহের উল্লেখিত কাজ হল। উত্তর প্রশ্নের উত্তর পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।
এসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ
বাংলাদেশে জুলাই মাসের সকাল ১০টার সময়ে জাপান, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় নির্ণয় কর। বাংলাদেশের সাথে উল্লিখিত দেশসমূহের স্থানীয় সময় ও ঋতুগত পার্থক্যের কারণ ব্যাখ্যা কর।
৯ম শ্রেণীর ৫ম সপ্তাহ বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর 2021
প্রিয় নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা তোমাদের নির্ধারিত প্রথম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে একটি নির্ভুল উত্তর তৈরি করেছি।তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কপিসহ পিডিএফ ডাউনলোড করতে পারো ।নবম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর পিডিএফ ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
সময়ের পার্থক্যের ক্ষেত্রে দ্রাঘিমা রেখার ভূমিকা
প্রতিদিন পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে তার নিজ মেরুরেখার উপর আবর্তিত হচ্ছে। ফলে পূর্ব দিকে অবস্থিত স্থানগুলােতে আগে সূর্যোদয় ঘটে । পৃথিবীর আবর্তনের ফলে কোনাে স্থানে যখন সূর্য ঠিক মাথার উপর আসে বা সর্বোচ্চে অবস্থান করে তখন এ স্থানে মধ্যাহ্ন এবং স্থানীয় ঘড়িতে তখন বেলা ১২ টা ধরা হয়। এ মধ্যাহ্ন সময় থেকে দিনের অন্যান্য সময় স্থির করা হয় । একে কোনাে স্থানের স্থানীয় সময় বলা হয় । সেক্সট্যান্ট যন্ত্রের সাহায্যেও স্থানীয় সময় নির্ণয় করা যায় । পৃথিবীর কেন্দ্রে কোণের পরিমাণ ৩৬০ ডিগ্রি ।
এই ৩৬০ ডিগ্রি কৌণিক দূরত্ব আবর্তন করতে পৃথিবীর ২৪ ঘন্টা বা (২৪ x ৬০) = ১,৪৪০ মিনিট সময় লাগে ।
সুতরাং পৃথিবী ১ ডিগ্রি * ঘােরে (১,৪৪০ ÷ ৩৬০) = ৪ মিনিট সময়ে
অর্থাৎ প্রতি ১ ডিগ্রি দ্রাঘিমার পার্থক্যের জন্য সময়ের পার্থক্য হয় ৪ মিনিট ।
বাংলাদেশ জাপান কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়
জুলাই মাসে বাংলাদেশে যখন সকাল ১০ টা বাজে,
তখন জাপানে বাজে দুপুর ১ টা ।
বাংলাদেশে যখন সকাল ১০ টা বাজে, তখন কানাডায় বাজে রাত ১২টা ।
বাংলাদেশে যখন সকাল ১০ টা বাজে, তখন যুক্তরাষ্ট্রে বাজে রাত ১২টা ।
পৃথিবী প্রায় একটি গােলকের ন্যায় । তাই পৃথিবীর মানচিত্রে সময় নির্ণয়ের ক্ষেত্রে কাল্পনিক রেখার ভূমিকা অপরিসীম । গােলাকার পৃথিবী নিজ অক্ষ বা মেরুরেখায় পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করছে। ফলে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থান ভিন্ন ভিন্ন সময়ে সূর্যের সামনে উপস্থিত হচ্ছে।
যে সময়ে কোনাে স্থানের মধ্যরেখা সূর্যের ঠিক সামনে আসে তখন ঐ স্থানে দুপুর হয় এবং ঘড়িতে তখন ১২টা বাজে। দুপুর বা মধ্যাহ্ন অনুসারে অন্যান্য সময় নির্ণয় করা হয় । পৃথিবী পশ্চিম থেকে পূর্ব দিকে আবর্তন করে বিধায় পূর্বে অবস্থিত স্থানসমূহে আগে সূর্যোদয় হয়। কোনাে স্থানের সময় বেলা ১টা হলে তার ১° পূর্বের স্থানে সময় বেলা ১টা ৪ মিনিট এবং ১° পশ্চিমের স্থানে বেলা ১২টা ৫৬ মিনিট হবে। গ্রিনিচে (০) যখন সকাল ৮ টা, তখন কোনাে স্থানে সকাল ১০ টা হলে উক্ত স্থানের দ্রাঘিমা হবে ৩০° পূর্ব। আবার সময় গ্রিনিচের চেয়ে কম হলে উক্ত স্থানটি গ্রিনিচের পশ্চিমে অবস্থিত হবে। এভাবে দ্রাঘিমার অবস্থান থেকে সময় ও সময়ের অবস্থান থেকে দ্রাঘিমা নির্ণয় করা হয় ।
বার্ষিক গতির ফলাফল ও অবস্থানের ভিত্তিতে উল্লেখিত দেশগুলির ঋতুর পার্থক্য
আমরা পাশের চিত্রটির দিকে তাকাই। এখানে সূর্যকে পরিশ্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থান থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে । বার্ষিক গতির জন্য সূর্যরশ্মি কোথাও লম্বভাবে আবার কোথাও। তির্যকভাবে পতিত হয় এবং দিবা রাত্রির হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে । লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি কম বায়ুস্তর ভেদ করে আসে বলে ভূপৃষ্ঠকে অধিক উত্তপ্ত করে । তির্যকভাবে পতিত সূর্যরশ্মি যে কেবল অধিক বায়ুস্তর ভেদ করে আসে তা নয় , এটি লম্বভাবে পতিত সূর্যরশ্মি অপেক্ষা অধিক আনব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে বছরের বিভিন্ন সময়ে ভূপৃষ্ঠের সর্বত্র তাপের তারতম্য হয় এবং ঋতু পরিবর্তন ঘটে। পৃথিবীতে সময়ভেদে তাপমাত্রার পার্থক্য বা পরিবর্তনকে ঋতু পরিবর্তন বলে । সূর্যকে পরিক্রমণকালে পৃথিবীর চারটি অবস্থান থেকে ঋতু পরিবর্তনের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় ।
উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে শীতকালঃ
২১ শে জুন সূর্যের উত্তরায়ণের শেষ দিন। এই দিন সূর্যরশ্মি কর্কটক্রান্তির উপর লম্বভাবে পতিত হয়। ফলে ঐ দিন এখানে দীর্ঘতম দিন এবং ক্ষুদ্রতম রাত্রি হয় ।২১ শে জুনের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মােট তিন মাস উত্তর গোলার্ধে উত্তাপ বেশি থাকে। । এ সময় উত্তর গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল । এ সময়ে সূর্যের তির্যক কিরণের জন্য দক্ষিণ গােলার্ধে দিন ছােট ও রাত বড় হয়। এজন্য সেখানে তখন শীতকাল ।
উত্তর গোলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে বসন্তকালঃ
২৩ শে সেপ্টেম্বর সূর্যরশ্মি নিরক্ষরেখার উপর লম্বভাবে পড়ে এবং সর্বত্র দিবা-রাত্রি সমান হয় । সেজন্য এ তারিখের দেড় মাস পূর্ব থেকে দেড় মাস পর পর্যন্ত মােট তিন মাস তাপমাত্রা মধ্যম ধরনের হয়ে থাকে। এ সময় উত্তর গােলার্ধে শরৎকাল ও দক্ষিণ গােলার্ধে বসন্তকাল ।
উত্তর গােলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকালঃ
২২ শে ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছােট হয় । এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও পরে দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গােলার্ধে শীতকাল থাকে।
উত্তর গােলার্ধে শীতকাল ও দক্ষিণ গােলার্ষে গ্রীষ্মকালঃ
২২শে ডিসেম্বর সূর্যের দক্ষিণায়নের শেষদিন অর্থাৎ এই দিন সূর্য মকরক্রান্তির উপর লম্বভাবে কিরণ দেয়। ফলে সেখানে দিন বড় ও রাত ছােট হয় । এ তারিখের দেড় মাস পূর্বে ও পরে দক্ষিণ গােলার্ধে গ্রীষ্মকাল এবং উত্তর গোলার্ধে শীতকাল থাকে।