আপনি যদি ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে আমাদের প্রকাশিত এই আর্টিকেলটি ১৬ তম সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট তৈরিতে সহযোগিতা করবে বলে আশা করছি। কেননা আমাদের প্রকাশিত এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ১৬ তম সপ্তাহের সিমেন্টের প্রশ্নের পাশাপাশি প্রশ্নের আলোকে নির্ভুল ও পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেয়ে যাবেন। তাই ৯ম শ্রেণীর ১৬ তম সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্টের পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেতে আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।
৯ম শ্রেণী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি [১৬তম সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2021
৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ১৬ তম সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ে এসাইনমেন্ট এর উত্তর নিচে দেওয়া হল। আমাদের প্রকাশিত এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে ৯ম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
অ্যাসাইনমেন্টঃ
‘ডিজিটাল বাংলাদেশে ই-সার্ভিস, ই-গভর্ন্যান্স ও ই-কমার্স আমাদের জীবনকে করেছে সহজতর’-এর উপর ৩০০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি কর।
নির্দেশনাঃ
প্রতিবেদনটি তৈরির ক্ষেত্রে লক্ষ রাখতে হবে –
- প্রারম্ভিক অংশ: মূল শিরােনাম, প্রাপকের নাম, ঠিকানা।
- প্রধান অংশ: বিষয় সম্পর্কে ভূমিকা, মূল প্রতিবেদন
- ই-সার্ভিস, ই-গভর্ন্যান্স ও ই-কমার্স কী তা উপস্থাপন।
- আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এ সকল সেবা কী ধরনের সুবিধা দিচেছ তার বর্ণনা।
- এ সকল সেবা আমাদের বর্তমান। জীবনকে কীভাবে সহজতর করেছে তার বর্ণনা। ঘ. উপসংহার ও সুপারিশ।
- পরিশিষ্ট: তথ্য নির্দেশ, গ্রন্থ বিবরণী, কমিটির তালিকা ও আনুসঙ্গিক বিষয়াদি।
উত্তরঃ
“ডিজিটাল বাংলাদেশে ই সার্ভিস, ই কমার্স, ই-গভর্ন্যান্স আমাদেও জীবনকে করেছে সহজতর” সাকিব রহমান, হাজিগঞ্জ, চাঁদপুর, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভূমিকা:
ডিজিটাল পদ্ধতিতে সেবাগ্রহীতা নিজ বাড়িতে বসেই মােবাইল ফোনে বা ইন্টারনেটে যেসব সেবা পেয়ে থাকে, তাকে বলা হয় অনলাইনভিত্তিক সেবা। অনলাইনভিত্তিক সেবাগুলাের মধ্যে ই-সার্ভিস, ই-গভন্যান্স, ই-কমার্স ইত্যাদি বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
ই-সার্ভিসঃ
ইংরেজি E-service এর পূর্ণ রূপ হলাে Electronic Service। সরকারি এবং বেসরকারি অনেক সেবামূলক সংস্থার সার্বক্ষণিক সেবা দেওয়ার প্রযুক্তিগত পদ্ধতিই হলাে ই-সার্ভিস। এই সেবা হতে পারে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যাতায়াত কিংবা কোনাে জমির দলিলের নকল সরবরাহ করা। ই-সার্ভিসের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলাে-এটি স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে এবং হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করে। বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধিদপ্তরসমূহের উদ্যোগে ইতােমধ্যে অনেক ই-সেবা চালু করেছে।
যেমন: ই-পুর্জি, ই-পর্চা, ই-টিকেট, টেলিমেডিসিন, অনলাইন আয়কর হিসাব করার ক্যালকুলেটর ইত্যাদি।
ই-কমার্সঃ
ইরনেট ব্যবহার করে যে ব্যবসা-বাণিজ্য সংঘটিত হয়ে থাকে তাকে ই-কমার্স বা Electronic Commerce বলা হয়। 1 ই-কমার্স হলে| একটি আধুনিক ও ডিজিটাল ব্যবসা পদ্ধতি। এখানে ব্যবসার সকল কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেটের মাধ্যমেই ক্রেতা ঘরে বসেই যে কোন পণ্যের মান, পণ্যের দাম সম্পর্কে জানতে পারে এবং তেমনি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তা অর্ডার দিয়ে ক্রয় করতে পারে। ই-কমার্সে ব্যবসায় লেনদেনের ক্ষেত্রে ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ডও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ই-গভর্ন্যান্সঃ
ইংরেজি Electronic governance বা e-governance (ই-গভর্ন্যান্স) বলতে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সরকারি সেবা, তথ্যের আদানপ্রদান, যােগাযােগমূলক লেনদেন, সরকার থেকে নাগরিক সেবা, সরকার থেকে ব্যবসা সেবা, সরকার থেকে সরকার সেবা, সরকার থেকে চাকুরীজীবী সেবা ইত্যাদিকে বােঝায়।
আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে এ সকল সেবার সুবিধাসমূহের বর্ণনা:
ই-সার্ভিস-এর সুবিধাসমূহ নিচে উল্লেখ করা হলােঃ
বাস কিংবা ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করতে গিয়ে এখন আর রেল স্টেশনে গিয়ে লাইনে না দাঁড়িয়ে অনলাইনে যে কেউ এই টিকিট সংগ্রহ করতে পারে। বর্তমানে দেশের সকল জমির রেকর্ডের অনুলিপি অনলাইনে সগ্রহ করা যায়। এটিকে ই-পর্চা বলে। দেশের যে কোনাে স্থান থেকেই ই-পর্চা সংগ্রহ করা সম্ভব। টেলিমেডিসিন প্রযুক্তির মাধ্যমে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকের কাছ থেকে দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বসেও স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া যায়। পাঠ্যপুস্তকের ডিজিটাল সংস্করণ এখন অনলাইন থেকে প্রায় বিনামূল্যে পাওয়া যায়। এতে বই কেনার খরচ যেমন বাঁচে তেমনি সময় এবং স্থানেরও সাশ্রয় হয়।
ই-গভর্ন্যান্স এর সুবিধাসমূহঃ
ই-গভন্যান্স সুবিধার মাধ্যমে এখন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য সরাসরি প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হতে হয়না। মােবাইল ফোন কিংবা ইন্টারনেট ব্যবহার করে আবেদন করা কিংবা ভর্তি হওয়া যায়। বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল অর্থাৎ এসএসসি, এইচএসসি ইত্যাদি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট ও মােবাইল ফোনে এসএমএসের সাহায্যে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল সেবা স্বল্প সময়ে, কম খরচে বং ঝামেলাবিহীনভাবে পাওয়ার জন্য চালু হয়েছে ই-গভন্যান্স সুবিধাসমূহ। ফলে আগের ২/৩ সপ্তাহের সেবা এখন মাত্র ২/৫ দিনে পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। তথ্যের ডিজিটালকরণের ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণে সময় কম লাগছে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি ইত্যাদির বিলসমূহ মােবাইল ফোন কিংবা অনলাইনে সহজেই পরিশােধ করা যায়।
ই-কমার্সের এর সুবিধাসমূহ:
একজন বিক্রেতা তার পণ্যের ছবি, ভিডিও দিয়ে ইন্টারনেটে সহজেই তার দোকানটি খুলে বসতে পারেন। ক্রেতা অনলাইনে তার পছন্দের পণ্যটি অর্ডার করে বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে মূল্য পরিশােধ করতে পারেন। বিক্রেতা তার পণ্যটি ক্রেতার ঠিকানায় নিজে অথবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে পারেন। ইকমার্স ব্যবসায় ভৌগলিক সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করে খুব সহজেই ক্রেতার কাছে পৌঁছা যায়। ক্রেতা-বিক্রেতার উভয়েরই সময় এবং খরচ বাঁচে। তাছাড়া হয়রানি কম হয়। এক্ষেত্রে পণ্য হাতে পেয়ে পরিশােধ (Cash on delivery) পদ্ধতিও চালু আছে। যে কেউ নিজের সৃজনশীল কাজটিও অনলাইনে বিক্রির সুবিধা পেয়ে থাকে যা দোকানে বিক্রি করা হয়তে সম্ভব হতাে না।
উপসংহার ও সুপারিশঃ
বিভিন্ন অনলাইনভিত্তিক সেবার মাধ্যমে আমাদের জীবন অনেক সহজ হয়েছে। জীবনমান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি সময়, অর্থ ইত্যাদির সাশ্রয় হচ্ছে। বাড়ছে কর্মসংস্থানের সুযােগ। হয়রানিমুক্ত এসব সেবাসমূহ পাওয়ার মাধ্যমে আমাদের জীবন হয়েছে গতিশীল।
পরিশিষ্টঃ
- তথ্য নির্দেশ: শিক্ষক ও ইন্টারনেটের সহায়তা গ্রহণ।
- গ্রন্থ বিবরনী: তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি বই (৯ম-১০ম শ্রেণি)।
- কমিটি তালিকা :নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীগণের সহায়তার কমিটি গঠন।
- সকল শিক্ষার্থী এ সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা সমন্বয় করে প্রতিবেদন উপস্থাপন।
সকল পোস্টের আপডেট পেতে নিচের ফেসবুক আইকনে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেইজে জয়েন করুন।