যৌথ মূলধনি ব্যবসায়ের অর্থায়নের সামগ্রিক ধারণা ব্যাখ্যাকরণ। এইচএসসি 2022 ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা ৫ম সপ্তাহ

এইচএসসি 2022 সালে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী। ছাত্র-ছাত্রীদের পঞ্চম সপ্তাহের নির্দিষ্ট ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা অ্যাসাইনমেন্ট এর নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। এইচএসসি 2022 সালের পঞ্চম সপ্তাহের ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর এখনো যারা পাননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। আমাদের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণ এইচএসসি পঞ্চম সপ্তাহের ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর নির্ভুল ভাবে তৈরি করেছেন ।যা শিক্ষার্থীদের এ প্লাস সহ সর্বোচ্চ নাম্বার পেতে সহযোগিতা করবে। ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা পঞ্চম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেতে লেখাটি  ভালভাবে পড়ুন।

এইচএসসি ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা পঞ্চম সপ্তাহে 2022  এসাইনমেন্ট প্রশ্ন

ছাত্র-ছাত্রীদের বুঝার সুবিধার্থে অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর এর পাশাপাশি শুরুতে প্রশ্ন উল্লেখ করা হলো। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা পঞ্চম সপ্তাহে অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন বুঝে পরবর্তী প্রশ্ন নং অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর সংগ্রহ করে এসাইনমেন্ট খাতায় নির্ভুলভাবে তুলে নিতে পারবে।

প্রশ্ন

অ্যাসাইনমেন্টঃ  ০১

প্রথম অধ্যায়ঃ অর্থায়নের সূচনা

অ্যাসাইনমেন্টঃ

যৌথ মূলধনি ব্যবসায়ের অর্থায়নের সামগ্রিক ধারণা ব্যাখ্যাকরণ।

শিখনফলঃ

  • অর্থায়নের ধারণা ব্যাখ্যা করতে হবে।
  • অর্থায়নে কার্যাবলি বিশ্লেষণ করতে হবে।
  • অর্থায়নের নীতিসমূহ ব্যাখ্যা কতে হবে।
  • অর্থায়নের লক্ষ্য ব্যাখ্যা করতে পারবে।

এইচএসসি 2012 ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা পঞ্চম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট উত্তর

প্রিয় এইচএসসি 2022 সালের পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রী বৃন্দ, আর দেরি না করে চলুন দেখে নেয়া যাক পঞ্চম সপ্তাহের ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা অ্যাসাইনমেন্ট এর সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর

উত্তর

যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের ধারণাঃ

এক মালিকানা এবং অংশিদারী ব্যবসায়ে মালিক সরাসরি ব্যবসা পরিচালনায় জড়িত। কিন্তু কোম্পানির ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ আলাদা। মালিক তথা শেয়ার মালিক ব্যবসা পরিচালনায় সরাসরি জড়িত থাকে না। তাই এই অর্থায়নের স্বরূপ সম্পূর্ণ আলাদা। যাকে আমরা কপেরেট সংস্কৃতি অনুমােদন পাওয়ার পর একটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি তার অনুমােদিত মূলধনকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে শেয়ার হিসেবে জনসাধারনের নিকট বিক্রয় করে।

যেমন: ১০ কোটি টাকার মূলধন ১০ টাকার ১ কোটি শেয়ারে বিভক্ত করে সাধারণ জনগণের কাছে বিক্রয় করা হয়। প্রতিটি শেয়ারের মূল্য মাত্র ১০ টাকা হওয়ার কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র বিনিয়ােগকারীরাও কোম্পানির শেয়ার কেনার মাধ্যমে উক্ত কোম্পানিতে বিনিয়ােগ করতে পারে। শেয়ারহােল্ডারগণই কোম্পানির প্রকৃত মালিক এবং সাধারণত শেয়ারকোম্পানি থেকে লভরাংশ পেয়ে থাকেন। শেয়ারহােল্ডাররা তাদের ক্রয়কৃত শেয়ার বাজার যেমন: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ইত্যাদি বাজাৱে ক্রয়-বিক্রয় ব্রুতে পারে। শেয়ার ছাড়া বন্ড ও ডিবেঞ্চার বিক্রয় কৱেও যৌথ মূলধনি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান সাধারণ জনগণের নিকট থেকে তহবিল সংগ্রহ করতে পারে। বন্ধ ও ডিবেঞ্চার বিক্রয় করার মাধ্যমে যে তহবিল সংগ্রহ করতে

যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের কার্যাবলিঃ

অর্থায়নের কার্যাবলিসমূহ

1. তবিল সংগ্রহ

2. মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্ত

3. স্বল্পমেয়াদী বা তরল সম্পদ ব্যবস্থাপনা

4. তহবিল ও লভ্যাংশ বন্টন BD)

তহবিল সংগ্রহ অর্থায়ন কার্যাবলির অনাতম কাজ হলাে কম খরচে অর্থের সম্ভাব্য উৎসসমুহ চিহ্নিত করে সেখান (থাক প্রয়ােজনীয় তহবিল সংগ্রহ করা।কোন প্রকল্পে বিনিয়ােগ করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের কী পরিমাণ নিজস্ব মূলধন (Equity) এবং কী পরিমাণ ঋণ মূলধন (Debt Capital) এর মাধ্যমে অর্থায়ন করা হবে তা নির্ধারণ করে মূলধন কাঠামো গ্ৰন্থত করা হয়। বিভিন্ন । মূলধন কাঠামোর মধ্যে কাম্য মূলধন কাঠামাে বা যে মূলধন কাঠামাের ব্যয় সবচেয়ে কম তা হতে মূলধন সংগ্রহ করা অর্থায়নের প্রধান কাজ।

মূলধন বাজেটিং সিদ্ধান্তঃ কোন প্রকল্প চালু করার আগে প্রকাল্পর জন্য কি পরিমাণ মূলধন প্রয়োজন, প্রকল্পের কার্যকাল কত বছর এবং ঐ প্রকল্প (থাক ভবিষাতে প্রত্যাশিত আয় ও আয়ের অনিশ্চয়তা প্রভৃতি বিষয় বিবেচনা ও মূল্যায়ন করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হয়। প্রতিষ্ঠানের এমন দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার প্রক্রিয়াকে মূলধন বাজেটিং বলা হয়। কোম্পানির দীর্ঘ মেয়াদি অর্থায়নের পূর্বে প্রকল্পের মূলধন বাজেটিংয়ের মাধ্যমে আর্থিক স্বম্ভাব্যতা যাচাই করে নেওয়া অর্থায়নের অন্যতম কাড়।

স্বল্পমেয়াদী বা তরল সম্পদ ব্যবস্থাপনাঃ স্বল্পমেয়াদি বা সম্পদ ব্যবস্থাপনা বলতে প্রতিষ্ঠানের নগদ অর্থ, মজুদপন্য, দেনাদার ও প্রাপ্য বিল ইত্যাদির ব্যবস্থাপনাকে বুঝায়। কী পরিমাণ কাঁচামাল ক্রয় করা হবে, কাচামাল ক্রয়ের অর্থ কোন উৎস হতে সংগ্রহ করা হবে- এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তকে চলতি মূলধন বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত বলে। কোম্পানি যদি চলতি মূলধনে অধিক বিনিয়ােগ করে বা অব্যহত রাখে, কোম্পানির মুনাফা অর্জন ক্ষমতা কমে যায়। আবার যদি চলতি সম্পত্তিতে বিনিয়োগ কমে যায়, কোম্পানীর চলতি দায় পরিশোধের ক্ষমতা কমে যায় এবং ঝুঁকির পরিমাণ বেড়ে যায়। কারণ চলতি দায় চলতি সম্পদ থেকেই পরিশােধ করতে হয়। তাই অর্থায়নের কাজ হচ্ছে চলতি সম্পদ ও মূলধন এমনভাবে ব্যবস্থাপনা করা যাতে মুনাফা অর্জন ক্ষমতা কমে না যায়, আবার ঝুঁকির সম্মুখীন হতে না হয়। চলতি মূলধনের প্রধান উপাদান হলাে নগদ তহবিল, কাচামাল বা উৎপাদিত দ্রব্যের মজুত, বিবিধ দেনাদার, প্রাপ্যবিল ইত্যাদি।

তহবিল ও লভ্যাংশ বন্টনঃ কোম্পানির মুনাফা বা লভ্যাংশ শেয়ার মালিকদের মধ্যে বন্টন করা হয়। এটিও অর্থায়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। লভ্যাংশ নীতি (Dividend Policy) এর উপর কোম্পানির শেয়ার মূল্য ও প্রসার নির্ভর করে। অর্জিত মুনাফার কি পরিমাণ শেয়ার মালিকদের মধ্যে বন্টন করা হবে এবং কি পরিমাণ ভবিষ্যত বিনিয়ােগের জন্য রেখে দেয়া হবে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এক্ষেত্রে শেয়ার মালিকদের সন্তুষ্টি, শেয়ার মূল্য বৃদ্ধি ও ভবিষ্যত বিনিয়ােগের জন্য সংস্থান রেখে লভ্যাংশ নীতি গ্রহণ করতে হবে। সুতরাং লভ্যাংশ সিদ্ধান্তের বিষয়টি অর্থায়নের কাজ। এমনভাবে লভ্যাংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত যা শেয়ারমালিকদের সন্তুষ্ট করে এবং কোম্পানির দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য অর্জনও সহজ হয়।

যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের নীতি সমূহঃ

অর্থায়নের নীতিসমূহ (Principles of Finance) নীতিমালা হল কার্যসম্পাদনের কাঠামাে সুতরাং নীতিমালা বলতে এমন কিছু মৌলিক বিষয়কে বুঝায় যা নির্দিষ্ট কোন কার্য সম্পাদন করার ক্ষেত্রে অনুসরন করা হলে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য অর্জন সহজতর হয়। তাই একজন আর্থিক ব্যবস্থাপককে বিনিয়ােগ সিন্ধান্ত এবং অর্থায়নের অনন্য কাজ সম্পাদনের সময় অর্থায়নের এসব নীতিমালা বিবেচনা করতে হয়। নিম্নে অর্থায়নের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে:

১) অর্থের সময়মূল্য নীতিঃ এই নীতি সব ধরনের বিনিয়ােগের সাথে জড়িত। সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে টাকার মূল্য পরিবর্তন হয়। কারণ আরে ১০০ টা একবছর পরে ১০০ টাকার সমান নয়। কেননা বিনিয়ােগের যথার্থ মূল্যায়ন একটি নির্দিষ্ট ব্যাহার মাধ্যমে অর্থের সময়মূল্য নির্ধারণ করা হয়। একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক তখনই একটি বিনিয়ােগ সিদ্ধন্ত গ্রহণ করে যখন উক্ত প্রকল্পের প্রত্যাশিত নগন প্রবাহের বাসকৃত মূল্য প্রাথমিক বিনিয়ােগের চেয়ে বেশি হয়। কারণ আপাতদৃষ্টিতে ব্যমাণ ছাড়া নগদ প্রবাহ বেশি মনে হলেও তা প্রকৃত পক্ষে বিনিয়ােগের চেয়ে বেশি নাও হতে পারে।

২) তারল্য ও মুনাফাঃ আর্থিক ব্যবস্থাপকগণ তারল্যতা ও মুনাফা অর্জন ক্ষমতার মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সম্পন্ন ব্যবস্থাপনা করে থাকে। তারল্যতা ও মুনাফা অর্জন ক্ষমতার মৰ্থে বিপরীত সম্পর্ক বিদ্যমান। উভয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে আর্থিক ব্যবস্থাপকতা লক্ষ্য অর্জনের ক্ষেত্রে সফলতা অর্জনের চেষ্ট করে থাকে। তারলা ও মুনাফা নীতি বলতে বুঝায় ব্যবসায়ের প্রতিটি আর্থিক সিদ্ধান্ত এমনভাবে গ্রহণ করা উচিত যাতে তারল্য ও মুনাফা উতই বজায় থাকে। আর্থিক ব্যবস্থাপক অর্থায়নের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য এই নীতিটি অনুসরণ করে থাকে। এটি একটি সমন্বিত নীতি যা কি না। তারল্যের নীতি ও মুনাফার নীতির মধ্যে উপযুক্ত সমন্বয় সাধন করে

৩) ঝুঁকি-মুনাফা নীতিঃ বাস্তবে একজন পাইলট বেতন ও ভাতাদি মিলিয়ে পর্যাপ্ত আর্থিক সুবিধা ভোগ করে। কারণ তার কাজের মধ্যে একটি ঝুঁকি রয়েছে। অর্থাৎ কুঁকি গ্রহণের সাথে আয়ের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে ঝুঁকি ও আয়ের মধ্যে বিপরিত সম্পর্ক বিদ্যমান। বিনিয়ােগের ক্ষেত্রে একজন আর্থিক ব্যবস্থাপক খুঁকি ও আয়ের মধ্যে সমন্বয় সাধনপূর্বক বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ কওে থাকে। বিনিয়ােগ হতে প্রত্যাশিত মুনাফা অপেক্ষা প্রকৃত মুনাফা কম হওয়ার সম্ভাবনাকে কি বলা হয়। পুঁকির কারণেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে আশানুপ মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয় না এবং বিনিয়োেগ ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিনিয়ােগ হতে প্রাপ্ত নগদ অর্থ যদি ব্যয়ের ক্ষেয়ে বেশি হয় তাকে মুনাফা বলে। ঝুঁকিমুনাফা নীতি অনুসারে বিনিয়ােগ যত বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হবে প্রত্যাশিত মুনাফার হার ততাে বেশি হবে। কারণ একজন বিনিয়ােগকারী যখন অধিক ঝুঁকি সাজশ করে তখন সে অধিক মুনাফা প্রত্যাশা করে। আর্থিক ব্যবস্থাপকের ঝুঁকি ও মুনাফার মধ্যে সমন্বয় সাধন করে ব্যবসায়ের আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা উচিত যাতে প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য অর্জন করা যায়।

৪) পাের্টফলিও বৈচিত্রায়নের নীতিঃ একজন বিনিয়োগকারী তার সমস্ত অর্থ একটি সম্পদে বিনিয়ােগ না করে একাধিক সম্পদে বিনিয়ােগ করার মাধ্যমে ঝুঁকি হ্রাস করার প্রচেষ্টাকে পের্টিফলিও বৈচিত্রায়নের নীতি বলা হয়। অর্থায়নে একটি বহুল প্রচলিত মতবাদ হচ্ছে “Do not put your all eggs in ones basket.’ সম্পদ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে এ নীতির ভূমিকা অপরিসীম। ধরুন, আপনার সব টাকা, মানিব্যাগে রেখেছেন। এটি হারিয়েগেলে পুরাে টাকাই থােয়া যাবে। আর যদি কিছু টাকা মানিব্যাগে, কিছু প্যান্টের পকেটে কিছু সার্টের পকেটে রাখা হলে মানিব্যাগ হারালে গেল পুরাে টাকা খােয়া যাবে না। এটাই মূলত। বৈচিত্রায়ন। সাধারনত একজন বিনিয়ােগকারী তার সল সম্পন্ন একটি কোম্পানিতে বিনিয়ােগ না করে একাধিক কোম্পানিতে বিনিয়ােগ করে থাকে। কারণ একটি কোম্পানিতে সকল সম্পদ বিনিয়ােগ করলে সেই কোম্পানিটি পরবর্তীকালে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে। ফলে ঝুঁকি বেড়ে যায় স্থি সব কোম্পানি একসাথে দেউলিয়া হওয়ার সম্ভবনা কম। তাই একাধিক প্রকল্পে বা সম্পত্তিতে বিনিয়ােগ করলে বুকি কমানাে সম্ভব।

যৌথ মূলধনী কোম্পানির অর্থায়নের লক্ষ্যঃ

অর্থায়নের লক্ষ্যসমূহ যৌথ মূলধনী কোম্পানীর সর্বজন স্বীকৃত উদ্দেশ্য হচ্ছে ঐ ফার্মের মালিকের বা মালিকদের সার্বিক অর্থনৈতিক কল্যাণ (Economic Welfare) সাধন করা। তাই, কোম্পানীর অর্থায়নের ক্কেত্রে ২টি ল্য নির্ধারণ করা হয়। LB D ) 1. মুনাফা সর্বাধিককরণ (Profit Maximization)

2. সস্পদ সর্বাধিককরণ (Wealth Maximization)

অর্থায়নের লক্ষ্যসমূহ অর্জনের উপায়ঃ অর্থায়নের লক্ষ্যসমূহ অর্জনের উপায়গুলাে নিচে সংক্ষেপে আলােচনা করা হল।

মুনাফা সর্বাধিককরণ (Profit Maximization)ঃ

• ব্যয় হৃাস-ব্যয় হ্রাস করলে স্বাভাবিকভাবেই মুনাফা বেড়ে যায়। তাই, দক্ষ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে উৎপাদন খরচ এবং প্রশাসনিক ও বিক্রয় খরচ কমিয়ে মুনাফা সর্বাধিকরণ সম্ভব।

• পন্যর মান উন্নয়ন – বিদ্যমান পন্য বা সেবার মান উন্নয়ন ও ভিন্নতা সৃষ্ঠির মাধ্যমে চাহিদা বৃদ্ধি করা যায়। অধিক চাহিদা সৃষ্টি করে অধিক পরিমাণ দ্রব্য উৎপাদন ও বিক্রয় করে মুনাফা সর্বাধিকরণ করা সম্ভব হতে পারে।সম্পদ সর্বাধিককরণ (Wealth Maximization)ঃ

• সঠিক বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ- কোম্পানী ব্যবস্থাপককে শেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দিয়ে সঠিক বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। এজন্য তিনি, ঝুঁকি বিবেচনা, অর্থের সময়মূল্য বিবেচনা, ভবিষ্যত নগদ প্রবাহ মূল্যায়ন করবেন।

• সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা- সম্পদ সর্বাধিককরণ বলতে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষ যেমন, পরিচালক, শেয়ারহােল্ডার, কর্মকর্তা-কর্মচারী, শ্রমিক, ব্যাংক, বীমা ও ভােক্তা সকলের স্বার্থ রক্ষা করেই সম্পদ সর্বাধীকরণ করা বােঝায়। তাই, ব্যবস্থাপককে সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষাকল্পেই অর্থনৈতিক, বিনিয়ােগ ও লভ্যাংশ নীতি গ্রহণ করতে হবে।

আরও দেখুনঃ

এইচএসসি 2022 উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন [৫ম সপ্তাহ] এসাইনমেন্ট উত্তর। Class-11 Assignment 2021

সকল পোস্টের আপডেট পেতে ‍নিচের ফেসবুক আইকনে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেইজে জয়েন করুন।

Check Also

ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিচয়। ৭ম শ্রেণি বাংলা [৩য় সপ্তাহ] এসাইনমেন্ট উত্তর

সপ্তম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট এর নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয় সপ্তাহ শ্রেণীর …