আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা। এসএসসি 2021 পৌরনীতি ও নাগরিকতা [৮ম সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট

প্রিয় এসএসসি 2001 সালের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য অষ্টম সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্ট প্রকাশ করছি আমরা। সকল শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে আমরা অত্যন্ত সহজ ও ভাষায় এসএসসি 2021 অষ্টম সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর প্রকাশ করছি। যা শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট তৈরি করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জমা দিতে সহযোগিতা করবে।

এসএসসি 2021 পৌরনীতি ও নাগরিকতা ৮ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট উত্তর

এসএসসি 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা, আপনারা কোন রকম খরচ ছাড়াই আমাদের সাইট থেকে অষ্টম সপ্তাহের পৌরনীতি ও নাগরিকতা অ্যাসাইনমেন্টের এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর সংগ্রহ করে নিতে পারেন। আপনি চাইলে অ্যাসাইনমেন্ট ডাউনলোড করে নিতে পারেন অথবা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সরাসরি লিখে নিতে পারেন। উত্তর নিচে দেওয়া হল।

অ্যাসাইনমেন্ট

আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা

নির্দেশনা (সংকেত/ধাপ/পরিধি)

  • বিচার বিভাগের গঠন কাঠামাে বর্ণনা করতে হবে।
  • *বিচার বিভাগের ক্ষমতা বর্ণনা করতে হবে।
  • বিচার বিভাগের কার্যাবলি বর্ণনা করতে হবে।
  • আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের ভূমিকা বিশ্লেষণ করতে হবে [পাঠ্যপুস্তক/শিক্ষক (মােবাইলে/অনলাইনে) যােগাযােগ করে অথবা প্রয়ােজনে ইন্টারনেট থেকেও সহায়তা নেয়া যেতে পারে।

উত্তরঃ

বিচার বিভাগের গঠনঃ

সুপ্রিম কোর্টের একজন প্রধান বিচারপতি রয়েছেন, যাকে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি বলা হয়। রাষ্ট্রপতি তাকে নিযুক্ত করেন। প্রত্যেক বিভাগের জন্য যতজন বিচারক প্রয়ােজন ততজন বিচারককে নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট গঠিত। প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের দুই বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ােগ দেন। প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য বিচারপতিগণ বিচার পরিচালনার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হতে হলে তাকে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে কমপক্ষে ১০ বছর এডভােকেট হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে অথবা বাংলাদেশে বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর বিচারক হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারকগণ ৬৭ বৎসর বয়স পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত স্বীয় পদে কর্মরত থাকতে পারেন।

আপিল বিভাগের ক্ষমতা ও কাজঃ

আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে শুনানির ব্যবস্থা করতে পারে।

  • রাষ্ট্রপতি আইনের কোনাে ব্যাখ্যা চাইলে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোনাে ব্যক্তিকে আদালতের সামনে হাজির হতে ও দলিলপত্র পেশ করার আদেশ জারি করতে পারে।
  • আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘােষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য অবশ্যই পালনীয়। এভাবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা, ন্যায়বিচার সংরক্ষণ ও পরামর্শ দান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা ও কাজঃ

  • নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে।
  • কোনাে ব্যক্তিকে মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী কোনাে কাজ করা থেকে বিরত রাখতে পারে অথবা এ ধরনের কোনাে কাজ করাকে বেআইনি ঘােষণা করতে পারে।
  • অধস্তন কোনাে আদালতের মামলায় সংবিধানের ব্যাখ্যাজনিত জটিলতা দেখা দিলে উক্ত মামলা হাইকোর্টে স্থানান্তর করে মীমাংসা করতে পারে।
  • অধস্তন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে। সকল অধস্তন আদালতের কার্যবিধি প্রণয়ন ও পরিচালনা করে

বিচার বিভাগের কার্যাবলীঃ

উপরে (পূর্বের উত্তরে) বর্ণিত কাজগুলাে ছাড়াও বিচার বিভাগ যে সমস্ত কাজ কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে তা নিম্নে আলােচনা করা হলাে

ক) বিচার সংক্রান্ত: দেশের প্রচলিত আইনের সাহায্যে বিচার বিভাগ বিচারকাজ সম্পাদন করে। অপরাধীর দণ্ড বিধানের মাধ্যমে বিচার বিভাগ ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে। নিরপরাধ ব্যক্তি যাতে শাস্তি না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখে বিচার বিভাগকে বিচারকাজ সম্পাদন করতে হয়।

(খ) নাগরিক অধিকাররক্ষা সংক্রান্ত: স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগ নাগরিক অধিকার রক্ষার অন্যতম রক্ষাকবচ। বিনা অপরাধে গ্রেফতার বিনা বিচারে আটক রেখে কেউ যাতে কাউকে হয়রানি করতে না পারে সেদিকে বিচার বিভাগ নজর রাখে।

(গ) আইনের ব্যাখ্যাদান সংক্রান্ত: আদালতে কোনাে মামলা দায়ের করা হলে উক্ত মামলা পরিচালনার জন্য প্রচলিত আইন যখন বিচারকের নিকট অস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থবােধক মনে হয় তখন বিচারক উক্ত আইনের ব্যাখ্যা করে সঠিক অর্থ নির্ধারিত করেন এবং মামলা পরিচালনা করেন।

ঘ) আইন প্রণয়নমূলক: কোনাে মামলা পরিচালনা করতে গিয়ে বিচারকগণ যদি দেখেন যে, সেই মামলা সংক্রান্ত আইনের অভাব রয়েছে তখন বিচারকগণ আইন তৈরি করে উক্ত মামলা পরিচালনা করেন।

(ঙ) সংবিধান রক্ষা সংক্রান্ত: যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় বিচার বিভাগ কেন্দ্র ও প্রদেশের মধ্যে বিরােধ মীমাংসা করে এবং সংবিধানকে সমুন্নত রাখে। কোনাে পক্ষ সংবিধানের ধারা লঙ্ঘন করলে বিচার বিভাগ তাকে উক্ত ধারা মানতে বাধ্য করে। আইন পরিষদ কোনাে আইন তৈরি করলে বিচার বিভাগ সেই আইনের সাংবিধানিক বৈধতা যাচাই করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিমকোর্টের সাবেক বিচারপতি হিউজেস (Hughes) বলেছেন, “বিচারপতি যাকে সংবিধান বলে, আমরা তার অধীনে বাস করি।”

আইনের শাসন ও বিচার বিভাগঃ

বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের মধ্যে বিচার বিভাগ অন্যতম। নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষা,ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা, অপরাধীর শাস্তিবিধান এবং দুর্বলকে সবলের হাত থেকে রক্ষার জন্য নিরপেক্ষ বিচার বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। সঠিক ও নির্ভুল আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করে থাকে বিচার বিভাগ। প্রয়ােজন হলে পুরাতন আইনের সংশােধন ও | যুগােপযােগী নতুন আইন সৃষ্টি করে বিচার বিভাগ। বিচার বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা, ন্যায়বিচার সংরক্ষণ ও পরামর্শ দান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিচার বিভাগ আইনের অনুশাসন ও দেশের সংবিধানকে অক্ষুন্ন রাখে।এভাবে বিচার বিভাগ দেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আরও দেখুনঃ

এসএসসি 2021 বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা [৮ম সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর। SSC-2021 [8th Week] Assignment

এসএসসি 2021 ভূগোল ও পরিবেশ [৮ম সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর। SSC-2021 Assignment

Check Also

ক্ষুদ্র জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক উৎসবের পরিচয়। ৭ম শ্রেণি বাংলা [৩য় সপ্তাহ] এসাইনমেন্ট উত্তর

সপ্তম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট এর নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয় সপ্তাহ শ্রেণীর …