বারিমন্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন। এসএসসি 2021 [৬ষ্ঠ সপ্তাহ] ভূগোল ও পরিবেশ উত্তর

এসএসসি 2021 সালের ষষ্ঠ সপ্তাহের নির্ধারিত ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। যে সকল শিক্ষার্থীরা এখনো পর্যন্ত এসএসসি 2021 সালের ভূগোল ও পরিবেশ এর প্রশ্ন পাননি এবং উত্তর পাননি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন সহ পূর্ণাঙ্গ উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। যেহেতু আমরা আমাদের ওয়েবসাইটের বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর তৈরি করেছি। হলে আপনি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ডাউনলোড করে এসাইনমেন্ট তৈরি করে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে পারেন। এসএসসি 2021 সালের ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর পেতে নিচের অংশ ভালভাবে পড়ুন।

এসএসসি 2021 ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন

আমরা ছাত্র ছাত্রীদের বোঝার সুবিধার্থে প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর এর পাশাপাশি এর প্রশ্ন প্রকাশ করে থাকি। যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন বুঝে সঠিক উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারে। নিচে এসএসসি 2021 সালের ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্টের প্রশ্ন দেওয়া হল।

অ্যাসাইনমেন্টঃ ০৪

ষষ্ঠ অধ্যায়ঃ বারিমন্ডল

অ্যাসাইনমেন্টঃ

বারিমন্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদন।

নির্দেশনাঃ

  1. *বারিমণ্ডল,মহাসাগর, সাগর ও উপসাগরের বর্ণনা
  2. *সমুদ্র তলদেশের ভূমিরূপ চিহ্নিতকরণ ও এদের বর্ণনা
  3. *বঙ্গোপসাগরের সামুদ্রিক সম্পদের বণর্না

এসএসসি ভূগোল ও পরিবেশ ষষ্ঠ সপ্তাহ এসাইনমেন্ট উত্তর 2021

প্রিয় এসএসসি 2021 সালের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। চলুন এসএসসি 2021 সালের ষষ্ঠ সপ্তাহের নির্ধারিত ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট এর সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর দেখে নেয়া যাক। অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করার পূর্বে অবশ্যই আমাদের উপরের অংশে ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন দেখে বুঝে পরবর্তীতে প্রশ্নের নং অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হল।

উত্তরঃ

ক) বারিমণ্ডল, সাগর উপসাগর, মহাসাগরের বর্ণনাঃ

বারিমণ্ডের ধারণা (Concept of Hydrosphere)ঃ

Hydrosphere – এর বাংলা প্রতিশব্দ বারিমণ্ডল। Hydro শব্দের জর্থ পানি এবং Sphereশব্দের অর্থ মণ্ডল। আমরা জানি পৃথিবীর সর্বত্র রয়েছে পানি। এ বিশাল জলরাশি পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে ভিন্ন তিন্ন অবস্থায় থাকে যেমনঃকঠিন (বরফ), গ্যাসীয় (জলীয়বাষ্প) এবং তরল। বায়ুমন্ডলে পানি রয়েছে জলীয়বাষ্প হিসেবে, ভূপৃষ্ঠে রয়েছে তরল ও কঠিন অবস্থায় এবং ভূপৃষ্ঠের তলদেশে রয়েছে ভূগর্ভস্থ তরল পানি। সুতরাং বারিমণ্ডল বলতে বােঝায় পৃথিবীর সকল জলরাশির অবস্থানভিত্তিক বিস্তরণ।

পৃথিবীর সকল জলরাশির শতকরা ৯৭ ভাগ পানি রয়েছে সমুদ্রে (মহাসাগর, সাগর ও উপসাগর)। মাত্র ৩ ভাগ পানি রয়েছে মদী, হিমবাহ, মৃত্তিকা, বায়ুমন্ডল ও জীবমন্ডলে। পৃথিবীর সমস্ত পানিকে দুই ভাগে ভাগ করা যায় যেমন লবনাক্ত ও মিঠা পানি। পৃথিবীর সকল মহাসাগর, সাগর ও উপসাপরের জলরাশি লবনাক্ত এবং নদী, হ্রদ ও ভূগর্ভস্থ পানি মিঠা পানির উৎস।

মহাসাগর, সাগর ও উপসাগরঃ

বারিমন্ডলের উন্মুক্ত বিস্তীর্ণ বিশাল লবনাক্ত জলরাশিকে মহাসাগর বলে। পৃথিবীতে পাঁচটি মহাসাগর দক্ষিণ মহাসাগর। এর মধ্যে প্রশান্ত মহাসাগর বৃহত্তম ও গভীরতম (সারণি ২)। আটলান্টিক মহাসাগর ভগ্ন উপকূলবিশিষ্ট এবং এটি অনেক আবদ্ধ সাগরের সৃষ্টি করেছে। ভারত মহাসাগর এশিয়া ও আফ্রিকা মহাদেশ দ্বারা পরিবেষিত। ৬০° দক্ষিণ অক্ষাংশ থেকে এন্টার্কটিকার হিমভাগ পর্যন্ত দক্ষিণ মহাসাগরের অবস্থান। দক্ষিণ মহাসাগরের দক্ষিণে এন্টার্কটিকা মহাদেশ বছরের সকল সময় বরফে আচ্ছন্ন থাকে। উত্তর গােলার্ধের উত্তর প্রান্তে উত্তর মহাসাগর অবস্থিত এবং এর চারদিক স্থলবেষ্টিত।

মহাসাগর অপেক্ষা স্বল্প আয়তনবিশিষ্ট জলরাশিকে সাগর বলে। যথাভূমধ্যসাগর, লােহিত সাগর, ক্যরিবিয়ান সাগর, জাপান সাগর ইত্যাদি। তিনদিকে স্থলভাগ দ্বারা পরিবেষ্টিত এবং একদিকে জল তাকে উপসাগর বলে। যথাঃবঙ্গোপসাগর, পারস্য উপসাগর ও মেক্সিকো উপসাগর ইত্যাদি। চারদিকে স্থলভাগ দ্বারা বেষ্টিত জলভাগকে হ্রদ বলে। যথা- রাশিয়ার বৈকাল হ্রদ, আমেরিকা যুক্তরাজ্য ও কানাডার সীমান্তে অবস্থিত সুপিরিয়র হ্রদ ও আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া হ্রদ ইত্যাদি।

খ) সমুদ্রের তলদেশে ভূমিরূপ চিহ্নিতকরণ ও এর বর্ণনা সমুদ্রের তলদেশে ভুমিরূপঃ

ভূপৃষ্ঠের উপরের ভূমিরূপ যেমন উচুনিচু তেমনি সমুদ্র তলদেশও অসমান। কারণ সমুদ্রতলে আগ্নেয়গিরি, শৈলশিরা, উচ্চভূমি ও গভীর খাত প্রভৃতি বিদ্যমান আছে। শব্দতরঙ্গের সাহায্যে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়। এ শব্দতরঙ্গ প্রতি সেকেন্ডে পানির মধ্য দিয়ে প্রায় ১,৪৭৫ মিটার নিচে যায় এবং আবার ফিরে আসে। ফ্যাদোমিটার যন্ত্রটি দিয়ে সমুদ্রের গভীরতা মাপা হয়। সমুদ্রের তলদেশের ভূমিরূপকে পাঁচটি ভাগে বিভক্ত করা হয়। যথা

১) মহীসােপান • ২) মহীঢাল • ৩) গভীর সমুদ্রের সমভূমি • ৪) নিমজ্জিত শৈলশিরা • ৫) গভীর সমুদ্রখাত

(১) মহীসােপান : পৃথিবীর মহাদেশসমূহের চারদিকে স্থলভাগের কিছু অংশ অল্প ঢালু হয়ে সমুদ্রের পানির মধ্যে নেমে গেছে। এরুপে সমুদ্রের উপকূলরেখা থেকে তলদেশ ক্রমনিম্ন নিমজ্জিত অংশকে মহীসােপান বলে। মহীসােপানের সমুদ্রের পানির সর্বোচ্চ গভীরতা ১৫০ মিটার। এটি ১° কোণে সমুদ্র তলদেশে নিমজ্জিত থাকে। মহীসােপানের গড় প্রশস্ততা ৭০ কিলােমিটার। মহীসােপানের সবচেয়ে উপরের অংশকে উপকূলীয় ঢাল বলে। মহীসােপানের বিস্তৃতি সর্বত্র সমান নয়। উপকূলভাগের বন্ধুরতার উপর এর বিস্তৃতি নির্ভর করে। উপকূল যদি বিস্তৃত সমভূমি হয়, তবে মহীসােপান অধিক প্রশস্ত হয়। মহাদেশের উপকূলে পর্বত বা মালভূমি থাকলে মহীসােপান সংকীর্ণ হয়। ইউরােপের উত্তরে বিস্তীর্ণ সমভূমি তবে ইউরােপের উত্তর পশ্চিমে পৃথিবীর বৃহত্তম মহীসােপান অবস্থিত। মহীসােপানের দ্বিতীয় বৃহত্তম অংশ উত্তর আমেরিকার পূর্ব উপকূলে দেখতে পাওয়া যায়। অথচ এর পশ্চিমে উপকূল বরাবর উত্তর দক্ষিণ ভঙ্গিল রকি পর্বত অবস্থান করায় সেখানে মহীসােপান খুবই সংকীর্ণ। আফ্রিকা মহাদেশের অধিকাংশ স্থান মালতুমি বলে এর পূর্ব ও পশ্চিম উপকূলের মহীসােপান খুবই সরু। সমুদ্রতটে সমুদ্রতরঙ্গ ও ক্ষয়ক্রিয়ার দ্বারা মহীসােপান গঠনে সহায়তা করে থাকে।

২) মহীঢাল : মহীসােপানের শেষ সীমা থেকে ভূভাগ হঠাৎ খাড়াভাবেনেমে সমুদ্রের গভীর তলদেশের সঙ্গে মিশে যায়। এ ঢালু অংশকে মহীঢাল বলে। সমুদ্রে এর গভীরতা ২০০ থেকে ৩,০০০ মিটার। সমুদ্র তলদেশের এ অংশ অধিক খাড়া হওয়ার জন্য প্রশস্ত কম হয়। এটি গড়ে প্রায় ১৬ থেকে ৩২ কিলােমিটার প্রশস্ত। মহীঢ়ালের উপরিভাগ সমান নয়। অসংখ্য আস্তঃসাপরীয় গিরিখাত অবস্থান করায় তা খুবই বন্ধুর প্রকৃতির। এর ঢাল মৃদু হলে জীবজন্তুর দেহাবশেষ, পলি প্রভৃতির অবক্ষেপণ দেখা যায়।

(৩) গভীর সমুদ্রের সমভূমি :

মহীঢাল শেষ হওয়ার পর থেকে সমুদ্র তলদেশে যে বিস্তৃত সমভূমি দেখা যায় তাকে গভীর সমুদ্রের সমভূমি বলে। এর গড় গভীরতা ৫,০০০ মিটার। এ অঞ্চলটি সমতুমি নামে খ্যাত হলেও প্রকৃতপক্ষে তা কস্তুর। কারণ গভীর সমুদ্রের সমভূমির উপর জলমগ্ন বহু শৈলশিরা ও উচ্চভূমি অবস্থান করে। আবার কোথাও রয়েছে নানা ধরনের আগ্নেয়গিরি। এ সমস্ত উচ্চভূমির কোনাে কোনােটি আবার জলরাশির উপর অবস্থান করে। সমুদ্রের এ গভীর অংশে পলিমাটি, আগ্নেয়গিরি থেকে উঠা লাভা সঞ্চিত হয়। এ সকল সঞ্চিত পদার্থ স্তরে স্তরে জমা হয়ে পাললিক শিলার সৃষ্টি করে।

(৪) নিমজ্জিত শৈলশিরা। : সমুদ্রের অভ্যন্তরে অনেকগুলাে আগ্নেয়গিরি অবস্থান করছে। এসব আগ্নেয়গিরি থেকে লাভা বেরিয়ে এসে সমুদ্রগর্ভে সঞ্চিত হয়ে শৈলশিরার ন্যায় ভুমিরুপ গঠন করেছে। এগুলােই নিমজ্জিত শৈলশিরা নামে পরিচিত। নিমজ্জিত শৈলশিরাগুলাের মধ্যে মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা সবচেয়ে উল্লেখযােগ্য।

(৫) গভীর সমুদ্রখাত : গভীর সমুদ্রের সমভূমি অঞ্চলের মাঝে মাঝে গভীর খাত দেখা যায়। এ সকল খাতকে গতীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুদ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্লেট সীমানায় অবস্থিত। এ প্লেট সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এ সকল খাত সৃষ্কি হয়েছে। এ খাতগুলাে অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ। এদের গভীরতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫,৪০০ মিটারের অধিক। প্রশান্ত মহাসাগরেই গতীর সমুদ্রখাতের সংখ্যা অধিক। এর অধিকাংশই পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এ সকল গভীর সমুদ্রখাতের মধ্যে গুয়াম দ্বীপের ৩২২ কিলােমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত মারিয়ানা খাত সর্বাপেক্ষা গভীর। এর গভীরতা প্রায় ১০,৮৭০ মিটার এবং এটাই পৃথিবীর গভীরতম খাত। এছাড়া আটলান্টিক মহাসাগরের পােটোরিকো খাত (৮,৫৩৮ মিটার), ভারত মহাসাগরের খাতকে গতীর সমুদ্রখাত বলে। পাশাপাশি অবস্থিত মহাদেশীয় ও সামুপ্রিক প্লেট সংঘর্ষের ফলে সমুদ্রখাত প্রেট সীমানায় অবস্থিত। এ প্লেট সীমানায় ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরি অধিক হয় বলেই এ সকল খাত সষ্টি হয়েছে। এ খাতগুলাে অধিক প্রশস্ত না হলেও খাড়া ঢালবিশিষ্ট।

গ) সামুদ্রিক সম্পদের বিবরণসহ বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদঃ

সমুদ্র বা বিশ্ব মহাসাগর হল লবণাক্ত জলের পরস্পর সংযুক্ত জলরাশি, যা পৃথিবীর উপরিতলের ৭০ শতাংশেরও বেশি অংশ আবৃত করে রেখেছে। সমুদ্র পৃথিবীর জলবায়ুকে সহনীয় করে রাখে এবং জলচক্র, কার্বন চক্র ও নাইট্রোজেন চক্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। প্রাচীন কাল থেকেই মানুষ সমুদ্র পরিভ্রমণ করছে ও সমুদ্রাভিযান চালিয়ে আসছে। তবে সমুদ্র-সংক্রান্ত বিজ্ঞানসম্মত চর্চা বা সমুদ্রবিজ্ঞানের সূচনা ঘটে মােটামুটিভাবে ১৭৬৮ থেকে ১৭৭৯ সালের মধ্যে ক্যাপ্টেন জেমস কুকের প্রশান্ত মহাসাগর অভিযানের সময়। নদী, পুকুর ও জলাশয়ের মাছ উৎপাদনে বিশ্বে শীর্ষস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। কিন্তু দেশের দরিদ্র মানুষদের বড় অংশ এখনাে যথেষ্ট পরিমাণে মাছ পাচ্ছে না। সমুদ্রসীমা জয়ের মাধ্যমে আমরা যে পরিমাণে মাছ আহরণ করছি, তার চেয়ে দ্বিগুণ মাছ আহরণ করা সম্ভব। এ জন্য মৎস্য অধিদপ্তরের পাশাপাশি অন্যান্য সরকারি সংস্থা এবং বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে রাখতে হবে। এতে বঙ্গোপসাগর হবে মৎস্যসম্পদ ও জীববৈচিত্র্যের খনি। দেশে সামুদ্রিক মৎ গতকাল বৃহস্পতিবার সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য, সাগরকেন্দ্রিক অর্থনীতি ও মৎস্যজীবীদের কল্যাণ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল গােলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এসব কথা বলেন। প্রথম আলাে ও ওয়ার্ল্ডফিশ বাংলাদেশ যৌথভাবে বৈঠকটির আয়ােজন করে।

মৎস্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ আরিফ আজাদ বলেন, ‘ইলিশের উৎপাদন বাড়ানাের পেছনে ওয়ার্ল্ডফিশের বিজ্ঞাননির্ভর গবেষণা বড় ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু চিংড়িতে এখনাে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি। চিংড়ি চাষের ভাইরাস পরীক্ষার জন্য ৫০০ টাকা খরচ করতে চান না রপ্তানিকারকেরা। কিন্তু ৫০ হাজার টাকা জরিমানা গুনছেন। এসব কারণে চিংড়ি চাষে আমরা এগােতে পারছি না। আমাদের মৎস্যসম্পদের অন্যতম রক্ষাকবচ হচ্ছে সুন্দরবন। সেখানে বেশি মাছ ধরা হচ্ছে, অবৈধ জাল ব্যবহৃত হচ্ছে। কারণ, সেখানে মৎস্য অধিদপ্তরের কোনাে কার্যক্রম নেই। বন বিভাগ এককভাবে সেটি নিয়ন্ত্রণ করায় আমরা সেখানকার সম্পদ রক্ষায় সহায়তা দিতে পারছি না। বারিমণ্ডলের ধারণাসহ সমুদ্রতলদেশের ভূমিরূপ ও সম্পদ সম্পর্কে প্রতিবেদনঃ মৎস্য সম্পদ বাংলাদেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। দেশের মােট জাতীয় উৎপাদনে মৎস্য সম্পদের অবদান শতকরা প্রায় ৫ ভাগ। রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ৪.৩৭%। এটির সাথে যুক্ত আরেকটি বিষয় হচ্ছে অর্থনীতি বা Blue Economy অর্থনীতির এমন একটি বিষয় যেখানে একটি দেশের সামুদ্রিক পরিবেশ কিংবা সামুদ্রিক সম্পদের সুষ্ঠ ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষন নিয়ে আলােচনা করা হয়। সুনীল অর্থনীতি বা ব্লু-ইকোনমি হচ্ছে সমুদ্রের সম্পদনির্ভর অর্থনীতি। সমুদ্রের বিশাল জলরাশি ও এর তলদেশের বিভিন্ন প্রকার সম্পদকে কাজে লাগানাের অর্থনীতি অর্থাৎ, সমুদ্র থেকে আহরণকৃত যে কোন সম্পদ দেশের অর্থনীতিতে যুক্ত হয়, তাই বু-ইকোনমির বা সুনীল অর্থনীতির পর্যায়ে পড়বে।

সমুদ্র পৃথিবীর অন্যতম মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ। সমুদ্র, মাছ এবং মতস্য সম্পদের মাধ্যমে খাবার চাহিদা মেটায়, মানুষ এবং পন্য পরিবহনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহূত হয়। এছাড়াও সমুদ্র নানা ধরনের প্রাকৃতিক খনিজ সম্পদ যেমন বালি, লবণ, কবাল্ট, গ্রাভেল, এবং কপার ইত্যাদির আধার হিসেবে ব্যবহূত হয় এবং তেল ও গ্যাস আহরণ ক্ষেত্র হিসেবে সমুদ্র প্রয়ােজন হয়। এসব উপাদান সমষ্টিকেই বলা হয় সুনীল অর্থনীতি (Blue Economy)| সুনীল অর্থনীতির এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করা, দেশের সম্পদ বৃদ্ধি করা, সামাজিক পুঁজির সৃষ্টি করা, আয় বাড়ানাে এবং সর্বোপরি পরিবেশে সঞ্চয়-বিনিয়ােগের মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টি করা।

বঙ্গোপসাগরে সামুদ্রিক সম্পদঃ

বাংলাদেশের প্রায় ৭১৬ কিলােমিটার দীর্ঘ উপকূলীয় অঞ্চলের বঙ্গোপসাগরে রয়েছে অনেক সামুদ্রিক সম্পদ। এর সমুদ্র তলদেশে ৪৪২ প্রজাতির মৎস্য,বিভিন্ন প্রজাতির চিংড়ি, নানারকম কাকড়া, ম্যানগ্রোভ বনসহ আরও বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক জলজ উদ্ভিদ। কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় পারমাণবিক খনিজ জিরকন, মােনাজাইট, ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, রিওটাইল ও লিউকবেসন পাওয়া গেছে। এছাড়া সমুদ্র তলদেশে রয়েছে খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদ।
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানাঃ
নামঃ
১০ম শ্রেণি,
রােলঃ

Check Also

প্রাণীর পরিচিতি ও শ্রেণিবিন্যাস উপস্থাপন। ৮ম শ্রেণি [৩য় সপ্তাহ] বিজ্ঞান

প্রিয় অষ্টম শ্রেণীর 2022 শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তোমাদের তৃতীয় সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল …