সপ্তম শ্রেণী কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ৫ম সপ্তাহ এসাইনমেন্ট সমাধান 2021। সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ

Covid-19 পরিস্থিতিতে 2021 শিক্ষাবর্ষের পুনর্বিন্যাসকৃত পাঠ্যসূচির ভিত্তিতে অ্যাসাইনমেন্ট ও নির্ধারিত কাজের ধারাবাহিকতায়। সপ্তম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিষয়ের কাজ তথা প্রশ্ন প্রকাশ করা হয়েছে। এটি যথারীতি বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ডট gov.bd প্রকাশ করা হয়েছে। প্রিয় সপ্তাম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, তোমাদের পূর্বের সকল অ্যাসাইনমেন্ট এর মতো এবারও আমরা তোমাদের পঞ্চম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা এসাইনমেন্ট এর প্রশ্নের সমাধান তৈরি করেছি। তোমরা যারা সপ্তম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের কর্মজীবন মুখী শিক্ষা এসাইনমেন্ট এর উত্তর খুজতেছো এই পোস্টটি তাদের জন্য। তোমরা এখান থেকে সপ্তম শ্রেণীর কর্মজীবনকে শিক্ষার প্রথম সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর সমাধান ডাউনলোড করতে পারবে।

আরও দেখুনঃ

৭ম শ্রেণী কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর 2021। ৬ষ্ঠ-সপ্তাহ কৃষি শিক্ষা সম্পূর্ণ উত্তর ডাউনলোড

Class 7 English Assignment Answer 2021- সপ্তম শ্রেণী ৬ষ্ঠ ‍সপ্তাহ ইংরেজি এ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

Class 7 Assignment 6th Week English Answer 2021 – সপ্তম শ্রেণী ইংরেজি এ্যাসাইনমেন্ট

সপ্তম শ্রেণীর কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা ৫ম সপ্তাহ নির্ধারিত প্রশ্ন ও কাজ

বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত সপ্তম শ্রেণীর পঞ্চম সপ্তাহের কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা বিস্ময়ের আজকের নির্ধারিত কাজ হল।


সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

নির্দেশনাঃ

সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ। 300 শব্দের মধ্যে একটি নিবন্ধন রচনা লিখতে হবে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে সপ্তম শ্রেণীর কর্মজীবন মুখী শিক্ষার পাঠ্যপুস্তক এর প্রথম অধ্যায় কর্ম ও মানবিকতা সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তুর তথ্য ও তত্ত্ব ব্যবহার করতে হবে।

সপ্তম শ্রেণী ৫ম সপ্তাহ কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা প্রশ্নের সমাধান।

প্রিয় সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা। তোমাদের পঞ্চম সপ্তাহের নির্ধারিত বিষয়ে কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষার আজকের নির্ধারণকৃত অ্যাসাইনমেন্ট বা কাজ হল। সভ্যতার বিকাশে কায়িক মেধাশ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়ে একটি নিবন্ধন রচনা লিখতে হবে। আমরা উক্ত বিষয়ের ওপর সপ্তম শ্রেণীর NCTB বোর্ড বই এর আলোকে প্রকাশ করলাম। Click here to download pdf.

সভ্যতার বিকাশে কায়িক ও মেধা শ্রম উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ।

ভূমিকাঃ

কায়িক শ্রম হল শারীরিক শ্রম। আমরা দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের কাজ করে থাকি আর এই কাজে শারীরিক যে পরিশ্রম হয় তাই হল কায়িক শ্রম। অর্থাৎ রিকশাচালক ভ্যানচালক কৃষক কামার-কুমার বাতি জ্বেলে এই সমস্ত লোক যে ধরনের শারীরিক পরিশ্রম করে থাকে এ সকলেই কায়িক শ্রম অপরপক্ষে আমাদের মেধা ব্যয় করে আমরা যে সকল কাজ করে থাকি সে সকল কাজকে মেধা শ্রম বলে। মেধাশ্রমের আর অন্য নাম হলো মানসিক শ্রম। অর্থাৎ মনস্তাত্ত্বিক চিন্তাভাবনা করে আমরা যে কাজ করি তাই মেধা শ্রম। যেমন গল্প লেখা চিত্র আঁকা ইতিহাস লেখা কোন কিছু চিন্তা করাই এ সকলেই মেধাশ্রমের উদাহরণ। নিচে সভ্যতার বিকাশে কায়িক শ্রম ও মেধা ও শ্রমের গুরুত্ব বর্ণনা করা হলো।

সভ্যতার বিকাশে কায়িক শ্রমের গুরুত্ব।

পূর্বের সভ্যতা থেকে আজকের যে আধুনিক সভ্যতায় এই সভ্যতার অন্যতম কারিগর হল কায়িক শ্রম। কায়িক শ্রম এর সাথে জড়িত মানুষজন তাদের নির্দিষ্ট কাজ করছে বলেই আজ আমরা এমন আরামদায়ক জীবনযাপন করতে পারতেছি। যেমন কৃষক কায়িক শ্রমের মাধ্যমে কাজ করে ফসল ফলান। তার ফলে আমরা আমাদের খাবার পাচ্ছি। আবার রিকশা চালক ভ্যান চালক গাড়ি চালাচ্ছেন বলে আমরা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় খুব সহজেই যেতে পারছি। আজকের যে এত বড় বড় দালান কোঠা বিল্ডিং এ সমস্ত সম্ভব হয়েছে রাজমিস্ত্রির কায়িক শ্রমের কারণে। অর্থাৎ বিভিন্ন পেশার মানুষ যারা কায়িক শ্রমের সাথে জড়িত তারা কাজ করছেন বিধায় আজকের এই আধুনিক সভ্যতা এত আরামদায়ক এবং এত সুন্দর হচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ বলতে পারি। কামার লোহার তৈরি জিনিসপত্র তৈরি করে বিধায় আমরা গৃহস্থালি জিনিসপত্রও পাচ্ছি। আবার তাপীয় দর্জি কাপড় বুনে বিধায় আমরা কাপড় পাচ্ছি। অন্যদিকে জেলেরা মাছ ধরে বিধায় আমরা মাছ খেতে পারতেছি। বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা কাজ করে বিধায় আজকের এই আধুনিক সভ্যতা গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি তৈরি হচ্ছে। মোটকথা কায়িক শ্রম এর সাথে জড়িত লোকজন তাদের শ্রমের বিনিময়ে আজকের এই আধুনিক সভ্যতায় অন্যতম ভূমিকা রাখতেছেন।

সভ্যতার বিকাশে মেধাশ্রমের গুরুত্ব।

প্রাচীন সভ্যতা থেকে আজকের এই আধুনিক সভ্যতায় রূপান্তরের প্রধান কারিগর হলো মেধা শ্রম। সাধারণত মেধাশ্রম আমাদের উন্নত জীবন ধারণের অন্যতম প্রধান কারিগর। কেননা মেধাশ্রমের ফলেই আজকের এই বিশ্বের বড় বড় সকল আবিষ্কার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যবহার সম্ভব হয়েছে। আর এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারের ফলে আজকের সভ্যতা হয়েছে আরো আধুনিক আরো আরামদায়ক। মেধাশ্রমের ফলে কায়িক শ্রমের অনেক সহজ হয়েছে। যেমন আগে আগে কৃষকদেরকে কোদাল দিয়ে মাঠ পাস করতে হইতো কিন্তু এখন নাঙ্গল ও উন্নত যন্ত্রপাতি আবিষ্কারের ফলে কৃষি কাজ অনেক সহজ হয়ে উঠেছে।

আবার মেধাশ্রমের বিনিময়ে আমরা উন্নত অনেক প্রযুক্তির ব্যবহার করতে পারতেছি। যেমন কম্পিউটার টিভি ফ্রিজ এয়ারকন্ডিশন আরো অন্যান্য উন্নত জিনিসপত্রের আবিষ্কার সম্ভব হয়েছে মেধাশ্রমের বিনিময়। আবার মেধাশ্রমের অন্যান্য কাজ গুলো হলো। যেমন মেধা শ্রম দিয়ে ইতিহাস লেখার ফলে আজ আমরা প্রাচীন সভ্যতার অতীত ইতিহাস জানতে পারতেছি। আবার বিভিন্ন ধরনের চিত্র অঙ্কন এবং অন্যান্য কাজ যেমন কবিতা লেখা বই লেখা এগুলো সব মেধা শ্রম এর মাধ্যমে সম্ভব হয়েছে। অর্থাৎ একটি উন্নত এবং আধুনিক সভ্যতার বিকাশে মেধাশ্রমের ভূমিকা অপরিসীম এবং অনস্বীকার্য।

Click here to download pdf and Images of the answer.

সকল পোস্টের আপডেট পেতে ‍নিচের ফেসবুক আইকনে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেইজে জয়েন করুন।

Check Also

বই পড়ার অভ্যাস গঠনে লাইব্রেরির গুরুত্ব বিশ্লেষণ। ৯ম শ্রেণি [৩য় সপ্তাহ] বাংলা

৯ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট এর নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয়  ৯ম শ্রেণীর …