৯ম শ্রেণী বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান 2021। ষষ্ঠ সপ্তাহ এসাইনমেন্ট উত্তর

নবম শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্টের সমাধান 2021। নবম শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট এর নির্ধারিত প্রশ্নের সমাধান করে প্রকাশ করা হলো। বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রকাশিত নবম শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট এর নির্ধারিত কাজ বোর্ড বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ের বিশ্বসভ্যতা (মিশর সিন্ধু, গ্রিক রোম) থেকে দেওয়া হয়েছে।

তোমরা যারা নবম শ্রেণির মানবিক বিভাগের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট এর সমাধান করছো তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে তোমাদের কাঙ্ক্ষিত উত্তর টি ডাউনলোড করে নিতে পারো। নবম শ্রেণির বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট এর সম্পূর্ণ উত্তরটি পেতে আমাদের প্রকাশিত পোস্ট করতে থাকো।

Table of Contents

৯ম শ্রেণী ৬ষ্ঠ সপ্তাহ বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট এর নির্ধারিত প্রশ্ন বা কাজ

যেহেতু আজকেই কেবলমাত্র নবম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশিত হয়েছে। অতএব যারা এখনো নবম শ্রেণীর হিসাব বিজ্ঞানের ষষ্ঠ সপ্তাহের প্রশ্ন হাতে পাওনি তাদের জন্য নবম শ্রেণীর হিসাব বিজ্ঞান বিষয়ের সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন তুলে ধরা হলো।

দ্বিতীয় অধ্যায়ঃ

বিশ্বসভ্যতা মিশর সিন্ধু গ্রিক ও রোম।

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও বিষয়বস্তুঃ

  • মিশরীয় সভ্যতা
  • সিন্ধু সভ্যতা
  • গ্রিক সভ্যতা
  • রোমান

সভ্যতা অ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ

বিশ্বসভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার অবদান সংক্রান্ত তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে উভয় সভ্যতার আর্থ-সামাজিক অবস্থার উপর একটি প্রতিবেদন তৈরি করো। [300 শব্দ]

৯ম শ্রেণির বাংলাদেশ ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা এসাইনমেন্ট এর উত্তর

প্রিয় নবম শ্রেণীর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তোমাদের নবম শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহের বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা প্রশ্ন হাতে পাওয়ার পর আমরা তোমাদের জন্য নির্ভুল এবং সঠিক সমাধান তৈরি করেছি।তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা ষষ্ঠ সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর উত্তর ডাউনলোড করে এসাইনমেন্ট তৈরি করে পূর্ণ নম্বর পেতে পারো। তাই দেরি না করে আমাদের প্রকাশিত নবম শ্রেণির বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা নির্ভুল উত্তরটি ডাউনলোড করে নাও। নবম শ্রেণীর ষষ্ঠ সপ্তাহের হিসাববিজ্ঞান উত্তর ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন

উত্তর

প্রতিবেদন

বিশ্ব সভ্যতার অগ্রগতি সাধনে মিশরীয় ও সিন্ধু সভ্যতার অবদান এবং উভয় আর্থসামাজিক অবস্থা।

মিশরীয় সভ্যতাঃ

খ্রিস্টপূর্ব ৫০০০ থেকে ৩২০০ অব্দ পর্যন্ত নীল নদের অববাহিকায় মিশরীয় সভ্যতা জনপদের উদ্ভব হয়। এ সময় থেকে মিশর প্রাচীন সভ্যতায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে শুরু করে। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে এই সভ্যতাটি এশিয়া আফ্রিকা ও ইউরোপ মহাদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত ভূমধ্য সাগরের উপকূলে অবস্থিত।

মিশরীয় সভ্যতার আর্থসামাজিক অবস্থা ছিল খুবই সচল। মিশরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নীলনদের কারণে মিশরের প্রতিবছর প্রাচীন মিশরে বন্যা হত এবং। যার ফলে মিশরের মাটি উর্বর ছিল এবং প্রচুর কৃষি পণ্য উৎপাদন হতো যেমন গম যব তুলা পেঁয়াজ পিচ ফল ইত্যাদি। যার ফলে মিশরীয় সভ্যতার আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক প্রসার ঘটে। বিশ্ব সভ্যতায় মিশরীয়দের অবদান অপরিসীম। ধর্মীয় চিন্তা শিল্প ভাস্কর্য লিখন পদ্ধতি কাগজের আবিষ্কার জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চা সবকিছুই তাদের অবদানের সমৃদ্ধ। মিশরীয়দের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তাদের জীবন ধর্মীয় চিন্তা ও বিশ্বাস দ্বারা প্রভাবিত ছিল।

মিশরীয় সভ্যতা শিল্পকর্মে পরিপুর্ণ ছিল। মিশরীয়দের চিত্রকলা বৈচিত্র্যপূর্ণ যা অন্যান্য দেশের মতো ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে গড়ে উঠেছিল। সমাধি পিরামিড মন্দির প্রাসাদ প্রমোদ কানন সাধারণ ঘরের দেয়ালে মিশরীয় চিত্রশিল্পীরা অসাধারণ ছবি এঁকেছেন। সেসব ছবির মধ্যে সমসাময়িক মিশরের রাজনৈতিক ধর্মীয় সামাজিক ও পারিবারিক জীবনের কাহিনী ফুটে উঠেছে।

সিন্ধু সভ্যতাঃ

সিন্ধু নদের অববাহিকায় এই সভ্যতা গড়ে উঠেছিল বলে সিন্ধু সভ্যতা নামে পরিচিত। সিন্ধু সভ্যতার আরেক নাম হরপ্পা সভ্যতা। উপমহাদেশের বিশাল এলাকা জুড়ে প্রাচীন সিন্ধু সভ্যতা অবস্থিত। মহেঞ্জোদারো হরপ্পা সভ্যতার নিদর্শন সবচেয়ে বেশি আবিষ্কৃত হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব ৩৫০০ থেকে ১৫০০ খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত এই সভ্যতার উত্থান পতনের কাল। সিন্ধু সভ্যতার যুগে মানুষ সমাজবদ্ধ পরিবেশে বসবাস করত। সিন্ধু সভ্যতার সমাজ ব্যবস্থা ছিল মাতৃতান্ত্রিক। এই সভ্যতা’র নারীরা খুবই সৌখিন ছিল। তাদের প্রিয় অলংকার এর মধ্যে ছিল হার আংটি দুল ভিসা বাজুবন্ধ চুরি বালা পায়ের মল ইত্যাদি। সিন্ধু সভ্যতার অর্থনৈতিক অবস্থা ছিল মূলত কৃষিনির্ভর। তাদের কৃষিনির্ভর ব্যবস্থার একটি বড় অংশ ছিল পশু পালন।

এছাড়াও তারা কৃষি ও পশুপালন এর পাশাপাশি মৃৎপাত্র নির্মাণ ধাতুশিল্প বয়ন শিল্প অলংকার নির্মাণ পাথরের কাজ ইত্যাদি তো তারা বেশ সমৃদ্ধ ছিল। সিন্ধু সভ্যতার নগর পরিকল্পনার নিদর্শন স্বরূপ হরপ্পা ও মহেঞ্জোদারো শহর গঠিত হয়। এই শহরের ঘরবাড়ি সবাই পোড়ামাটি বা রোদে পোড়া ইট দিয়ে তৈরি।

শিল্পেও সিন্ধু সভ্যতা ছিল অত্যন্ত প্রশিদ্ধ ।তারা কুমারের চাকার ব্যবহার জানতো এবং তার সাহায্যে সুন্দর মাটির পাত্র বানাতে পারত। পাত্র গুলো অনেক সুন্দর নকশা আঁকা থাকতো। তাঁতিরা বয়ন শিল্পে পারদর্শী ছিল তাদের সাহায্যে আসবাবপত্র বস্ত্র ও অলংকার তৈরি করত তারা তামা ও টিনের মিশ্রণে তৈরি করতে শিখেছিল। সিন্ধু সভ্যতার যুগের আদিবাসীরা গুরুত্বপূর্ণ এবং চমৎকার স্পষ্ট নিদর্শন রেখে গেছে সেখানে দুই কক্ষ থেকে 25 কক্ষের বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। মহেঞ্জোদারো স্থাপত্যের উল্লেখযোগ্য উদাহরণ হল বৃহৎ মিলনায়তন যা 80 ফুট জায়গা জুড়ে তৈরি হয়েছিল।

সকল পোস্টের আপডেট পেতে ‍নিচের ফেসবুক আইকনে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেইজে জয়েন করুন।

Check Also

প্রাণীর পরিচিতি ও শ্রেণিবিন্যাস উপস্থাপন। ৮ম শ্রেণি [৩য় সপ্তাহ] বিজ্ঞান

প্রিয় অষ্টম শ্রেণীর 2022 শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীরা। তোমাদের তৃতীয় সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল …