সপ্তম শ্রেণীর 2022 শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয় সপ্তাহ শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা আমরা ইতোমধ্যে তোমাদের দ্বিতীয় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশ করেছি। আজ উক্ত প্রশ্নের পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। ফলে যে সকল শিক্ষার্থীরা এখনো পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় ভিডিও সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর পাওলি তারা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে নিতে পারো। চলো দেরি না করে সপ্তাহ শ্রেণীর দ্বিতীয় সপ্তাহের নির্ধারিত বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় কমেন্টের উত্তর দেখে নেয়া যাক।
সপ্তম শ্রেণি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় দ্বিতীয় সপ্তাহ এসাইনমেন্ট উত্তর 2022
আমাদের ওয়েবসাইট থেকে এসাইনমেন্ট এর নমুনা উত্তর লেখার পূর্বে অবশ্যই প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে প্রশ্নের নং অনুযায়ী উত্তর ডাউনলোড করেছেন তৈরি করে নিবে। কেননা প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট লেখার পূর্বে অবশ্যই এর প্রশ্ন ভালোভাবে পড়ে বুঝে অ্যাসাইনমেন্ট লেখার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে সহায়তা প্রদান করে। সপ্তম শ্রেণীর 2020 শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্টের নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর পেতে নিচের অংশ ভালভাবে দেখুন।
(ক). নিচে ২৯৫২ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনাক্রমের ছক তৈরি করে সময় উল্লেখ করা হলোঃ
সাল | রাজনৈতিক ঘটনা |
১৯৫২ | ভাষা আন্দোলন |
১৯৫৪ | যুক্তফ্রন্ট গঠন |
১৯৬৬ | ছয় দফা আন্দোলন |
১৯৬৯ | উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান |
১৯৭০ | ৭০’ এর সাধারণ নির্বাচন |
‘খ’ ছক থেকে যে কোন একটি ঘটনা নির্বাচন করে তার ধারাবাহিক বর্ণনা আমাদের জাতীয় জীবনে উক্ত ঘটনাটির গুরুত্ব ব্যাখ্যা
১৯৪৭ সালে ভারত শাসন অনুযায়ী ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি স্বাধীন রাষ্ট্রের সৃষ্টি হয়। পাকিস্তানের দাতিত্বভার গ্রহণ করে মুহাম্মদ আলি জিন্নাহ আর ভারতের দায়িত্বভার অর্পিত হয় জওহরলাল নেহেরুর উপর। পাকিস্তান সৃষ্টির শুরুতেই ভাষাগত বিষয় নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় এর ফলে শুরু হয় ভাষা আন্দোলন।
১৯৫২ সালের জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ভাষা আন্দোলন পুনরজ্জীবিত হয়। পাকিস্তানের তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ২৭ জানুয়ারি (১৯৫২) এক জনসভায় ঘােষণা দেন যে, উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা। তার এই ঘােষণায় ছাত্র-শিক্ষক-বুদ্ধিজীবি মহলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩০ জানুয়ারি (১৯৫২) ঢাকা শহরে ছাত্রধর্মঘট, বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্রসভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিক্ষোভ ঠেকাতে সমস্ত ঢাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সরকারি ঘােষণায় ছাত্ররা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে এবং তারা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৪৪ ধারা ভাঙ্গার পন্থা হিসেবে দশজন দশজন করে ছাত্রি রাস্তায় মিছিল বের করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অনেকেই এদিন গ্রেফতার হােন। পুলিশ মিছিলকারীদের উপর বেপরােয়া লাঠিচার্জ করে এবঙ্ কাঁদুনে গ্যাস নিক্ষেপ করে। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে ছাত্ররা মেডিকেল হােস্টেলের প্রধান ফটকের কাছে জমায়াত হয়।
তখন ছাত্ররা দলবদ্ধ হয়ে শ্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ বাহিনী এসে তাদের তাড়া করে এবং তাদের উপর একপর্যায়ে পুলিশ ছাত্রদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। ঘটনাস্থলেই সালাম, জব্বার ও রফিক, বরকত শহীদ হন। এই হত্যাকান্ড মাতৃভাষার অধিকারের দাবিতে গড়ে ওঠা আন্দোলনকে দমিয়ে দেয়নি। এই ঘটনার দুই বছরের বেশি সময় পরে ১৯৫৪ সালের ৭ মে পাকিস্তান সংসদ ‘বাংলাকে একটি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকার করে প্রস্তাব গ্রহণ করে। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রভাষার স্বীকৃতি কার্যকর হতে লেগেছিল আরও দুই বছর। মাতৃভাষা নিয়ে এই আন্দোলনেই বীজ বপন হয়েছিল পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামের একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের।
‘গ’ নং প্রশ্নের উত্তর ছক থেকে নির্বাচিত ঘটনাটি হলো ৫২’এর ভাষা আন্দোলন। নিচে জাতীয় জীবনে উক্ত ঘটনার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হলোঃ
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আন্দোলনের গােড়াপত্তন হয়েছিল মূলত ১৯৫২ এর ভাষা আন্দোলন এর মধ্য দিয়ে। ৫২’তে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেলেও স্বাধীনতার স্বাদ তখনও আমরা পাইনি। অবশেষে ১৯৭১ সালে আমরা পেলাম স্বাধীনতার স্বাদ। স্বাধীনতা পর্যন্ত সময়কালে আন্দোলনের পিছনে সাক্ষী হয়ে আছে অনেক কাল। বাঙ্গালীর জাতীয়তাবাদের বিকাশঃ ১৯৪৮ সালের ২১শে মার্চ মােহাম্মদ আলি জিন্নাহ উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ঘােষণা দেন এতে পূর্ব পাকিস্তানে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। ধর্মঘট পালনকালে শেখ মুজিবসহ আরও কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে সচিবালয়ের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়। আন্দোলন আরও জোরদার হতে থাকে। আন্দোলন দমনে পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করে। ২০ শে ফেব্রুয়ারি রাতে সভা করে ছাত্ররা ১৪৪ ধারা ভেঙ্গে মিছিল বের করে এবং সেই মিছিলে পুলিশ গুলি বর্ষন করে। সালাম-রফিক-বরকতসহ অনেকেই সেদিন নিহত হন। ভাষার জন্য তাদের প্রান বৃথা যায় নি। অবশেষে ১৯৫৪ সালের ৭মে মুসলিম লীগের সমর্থনে বাংলাকে রাষ্ট্রীয় ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়।
ফলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্বাদ পায়। শােষন থেকে মুক্তিঃ এ দেশের মানুষের অধিকার আদায় এবুং শাষোণ-বঞ্চনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বহুবার গ্রেফতার ও কারারুদ্ধ হয়েছেন। ১৯৬৬ সালে তিনি পেশ করেন বাঙালি জাতির ঐতিহাসিক মুক্তির সনদ ছয় দফা। এ সময় নিরাপত্তা আইনে তিনি বারবার গ্রেফতার হতে থাকেন। আজ গ্রেফতার হয়ে আগামীকাল জামিনে মুক্তি হলে সন্ধ্যায় তিনি আবার গ্রেফতার হােন। এরকমই চলতে থাকে পর্যায়ক্রমিক গ্রেফতার। তিনি কারারুদ্ধ জীবনযাপন করতে থাকেন। তাঁকে প্রধান আসামী করে দায়ের করা হয় আগরতলা মামলা। স্বাধীকার আন্দোলনঃ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৯৬৯ সালের জানুয়ারি ৫ তারিখে দফা দাবি পেশ করে যার মধ্যে শেখ মুজিবুরের ছয় দফার সবগুলােই অন্তর্ভুক্ত ছিল। আগরতলা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী ছাত্র আন্দোলনে রূপনেয়।
মাসব্যাপী চলতে থাকে আন্দোলন, কারফিউ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, পুলিশের গুলিবর্ষণ ইত্যাদি। পরবর্তীতে আন্দোলন চরম রূপ ধারন করলে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আইয়ুব খান তাদের রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে গােলটেবিল বৈঠকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার ও বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। রাজনৈতিক বিজয়ঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ইতিহাসে ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি একটি মাইলফলক। সামরিক শাসন এবং পাকিস্তানী সামরিক গণতন্ত্র বিরােধী অপসারণের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পর আসে এই নির্বাচন। জাতীয়
পরিষদের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে ১৬৭ টিতে এবং প্রাদেশিক পরিষদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮ টি আসনে জয় লাভ করে আওয়ামীলীগ। আর এভাবেই ধীরে ধীরে সংঘঠিত হয় রাজনৈতিক বিজয়।
আরও দেখুনঃ
৭ম শ্রেণী ইংরেজি ২য়-সপ্তাহ এসাইনমেন্ট উত্তর 2022। Class 7 English Assignment