দাখিল 2021 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সাধারন বিভাগের শিক্ষার্থীদের চতুর্থ সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত ইসলামের ইতিহাস বিষয়ের সঠিক এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। যারা এখনো পর্যন্ত দাখিল 2021 সালের চতুর্থ সপ্তাহের ইসলামের ইতিহাসের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন অথবা উত্তর পান নি তারা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এই পোষ্টের মাধ্যমে পেয়ে যাবেন। অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করার পূর্বে অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত দাখিল চতুর্থ সপ্তাহের ইসলামের ইতিহাসে অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন টি ভালোভাবে পড়ে বুঝে প্রশ্নের নং অনুযায়ী অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করবেন। দাখিল 2021 ইসলামের ইতিহাস চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর নিচের অংশে দেখুন।
দাখিল ইসলামের ইতিহাস চতুর্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন 2021
ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর এর পূর্বে প্রশ্ন তুলে ধরা হলো। যাতে করে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশ্নের নং অনুযায়ী এবং প্রশ্ন ভালোভাবে বুঝে অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর ডাউনলোড করে নিতে পারেন। দাখিল 2021 ইসলামের ইতিহাস চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন নিচে তুলে ধরা হলো।
অ্যাসাইনমেন্টঃ
মদিনার সনদ পৃথিবীর প্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র : একটি পর্যালােচনা
নির্দেশনাঃ
- মদিনার অধিবাসী ও মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (স.এর প্রাথমিক কার্যাবলি মদিনার সনদের প্রয়ােজনীয়তা
- মদিনার সনদের গুরুত্বপূর্ণ ধারা সমূহ
দাখিল ইসলামের ইতিহাস চতুর্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর 2021
প্রিয় দাখিল 2021 সালের পরীক্ষা অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। চলুন দাখিল 2021 ইসলামের ইতিহাস চতুর্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর পূর্ণাঙ্গ উত্তর দেখে নেয়া যাক।
উত্তরঃ
মদিনার সনদ পৃথিবীর প্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র
ভুমিকাঃ মদীনার সনদ হচ্ছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম লিখিত শাসনতন্ত্র বা সংবিধান এটিকে একটি রাষ্ট্রীয় সংবিধানও বলা যায়। এটি প্রণয়ন করেছেন হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) । এই সনদে মােট ৫৩ টি ধারা ছিল। হযরত মুহাম্মদ (স) যখন মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করেন তখন তিনি মদীনার রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মনােনীত হন। তাই মদিনাকে পরিচালনা করার জন্য এই ৫৩ টি ধারা প্রণয়ন করেন তাই একে মদিনার সনদ বলা হয়। পৃথিবীতে এরপূর্বে কোন রাষ্ট্রনায়ক বা রাজা তার রাষ্ট্র পরিচালনা করার জন্য এরকম লিখিত সংবিধান প্রণয়ন করেন নি। তাই এটাই হচ্ছে পৃথিবীর সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান।
মদিনার অধিবাসী ও মদিনায় হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রাথমিক কার্যাবলি: মদিনাকে আল মদিনা আল নববীইয়া বা নবীর শহরও বলা হয়ে থাকে। এটি ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্র শহর যেখানে মুসলমানদের শেষ নবী মুহাম্মদ (সাঃ) এর রওযা। এইটি ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কারণ মুহাম্মাদ (সাঃ) হিজরতের পুরে মদিনায় বসবাস করেছেন। নানা ঐতিহাসিক কারণে মদিনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে মুসলমানদের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ও পবিত্র এই নগরীটি। মহানবী (সাঃ) মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত পরবর্তী মদিনায় পাঁচ শ্রেণির অধিবাসীর উপস্থিতি ছিল।
যথাঃ
i)মুহাজিরিনঃ আল্লাহর হুকুমে মহানবীর সাথে যারা মক্কা ত্যাগ করে মদিনায় হিজত করেছিলেন তারাই মুহাজিরিন।
- ii) আনসারঃ আনসার একটি ইসলামী পরিভাষা যা দ্বারা হিজরতের পর মুহাম্মদ ও মুহাজিরিনদের সাহায্য করা মদিনার মুসলিমদের বােঝানাে হয়।
iii) ইহুদিঃ ইহুদি মূলত একটি জাতি বা ধর্মীয় জুনগােষ্ঠী যারা ইস্রায়েল জাতির অন্তর্গত এবং জাতিগতভাবে ইহুদি ধর্মের অনুসারী।মদিনায় ইহুদিদের বসবাস অনেক আগে থেকেই ছিল।
- iv) খ্রিস্টানঃ খ্রিষ্টান বলতে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের বােঝায়।মদিনার অধিবাসীদের মধ্যে একটি বৃহৎ অংশ ছিল খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বী। অথত কাউকশুরিককখন কাকে মুশরিক বলা হয়। মদিনায় মুশরিকদেরও
- v) মুশরিকঃ যে ব্যক্তি বা গােষ্ঠি বা গােত্র অথবা জাতি, সৃষ্টিকর্তা হিসাবে মহান আল্লাহকে ব্যতি রেখে অন্য উপাস্য কামনা করে, অথবা আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করে তখন তাকে মুশরিক বলা হয়। মদিনায় মুশরিকদের ও বসবাস ছিল চোখে পরার মতাে।
মদিনায় হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর প্রাথমিক কার্যাবলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলােচনা করা হলোঃ
হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে মক্কার মুশরিকদের অত্যাচার, অতঃপর আল্লাহ তালার নির্দেশে মক্কা হতে মদিনায় হিজরত করেন। তার এই হিজরত ইসলামের ইতিহাসে এক নতুন যুগের সূচনা করে। তিনি মদিনায় পৌছালে মদিনার আনসাররা তাকে পেয়ে আনন্দে ভাসে। মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনায় মসজিদে নববী নামে ইসলামের প্রথম মসজিদ নির্মান করেন। এই নির্মান কাজে তিনি অন্যান্য মুসলমানদের সাথে কাজ করেনু। মসজিদে নববীতেই তিনি সপরিবারে বসবাস করতেন এছাড়াও ধর্মীয়, সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যাবলিও তিনি এখান থেকে পরিচালনা করতেন। মুহাম্মদ (সাঃ) মদিনায় হিজরতের প্রাক্কালে মদিনার সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থা ছিল চরম শােচনীয়। অথচ তিনি মদিনায় পৌছানাের পর তার আচার আচরণ এবং ইসলামের দ্বীপ্তির দ্বারা মানুষকে পরিবর্তন করতে শুরু করলেন, তৈরী করলেন মসজিদে নববী যাতে মুসলমানদের মধ্যকার ভীত আরও মজবুত হয়, ইসলাম প্রচারকে যেন আরও বেগবান করা যায়। মুসলমানরা মসজিদে নববীতে পাঁচ ওয়াক্ত নামায পড়ার জন্য উপস্থিত হতাে। এতে মুসলমানদের মধ্যে একতা, আন্তরিকতা, ভ্রাতৃত্ব গড়ে ওঠে।
মদিনা সনদের প্রয়ােজনীয়তা নিম্নে ব্যাখ্যা করা হলােঃ
i)বিশেষ করে এই সাম্প্রদায়িক হানাহানির বিশ্বে শান্তির খুব বেশি প্রয়ােজন। শান্তির জন্য নানা চুক্তি, সমঝােতা হচ্ছে। অনেক আন্তর্জাতিক সংস্থাও গড়ে ওঠেছে। কিন্তু শান্তির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আর তা-ই মদিনা সনদের প্রযােজনীয়তা বারবার ওঠে আসে।
- ii) এই সনদের মাধ্যমেই মহানবী (সাঃ) ধর্ম, বর্ণ, জাতি, উপজাতি-নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে তুলেছিলেন। তিনি যে রাষ্ট্রব্যবস্থার কান্ডারি ছিলেন, সেই রাষ্ট্রে সব মানুষের সমান অধিকার সুনিশ্চিত হয়েছিল তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার মূর্ত প্রতীক। তিনি সবার সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। এই সনদে মদিনাবাসী ইহুদি, খ্রিস্টান, মাজুসি, অগ্নি উপাসক অর্থাৎ সনদে স্বাক্ষরিত সব সম্প্রদায় উম্মভুক্ত বলে ঘােষণা করা হয়।
- iv) এই চুক্তি উগ্র সাম্প্রদায়িকতা, গােত্রীয় দম্ভ, ধর্মবিদ্বেষ, অঞ্চলপ্রীতি, দেবীর নামে কর্তৃত্ব মূলত মানবতার শত্রু ও প্রগতির অন্তরায় সব রকম প্রয়াস খতম করে সাফল্যের ন্যায্য অধিকার সংরক্ষণ ও দায়িত্ব কর্তব্যের বিবরণ সংবলিত এক অনন্য দলিল। এই দলিল পর্যালােচনা করলে মহানবী (সাঃ) এর মানবাধিকার ঘােষণার প্রকৃষ্ট পরিচয় প্রতিফলিত।
- v) কেউ যুদ্ধে লিপ্ত হলে তার ব্যাপারে ব্যবস্থা, বন্ধুর দুষ্কর্য, যুদ্ধের ব্যয় নির্বাহ, নাগরিকের অধিকার, আশ্রয়দানকারী ও আশ্রিতের সম্পর্ক, নারীর আশ্রয়, সনদের স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে শান্তি ভঙ্গের আশঙ্কা দেখা দিলে করণীয়, কুরাইশদের ব্যাপারে ব্যবস্থা, মদিনার ওপর অতর্কিত আক্রমণ হলে করণীয় ইত্যাদি বিষয়ের সুরাহা হয়।
মদিনা সনদের গুরুত্বপূর্ণ ধারাসমূহ নিম্নে লেখা হলােঃ
মদিনা সনদে মােট ৫৩ টি ধারা রয়েছে। তবে মতান্তরে এ সনদের ধারা ৪৭ টি অথবা ৫২ টি। এর উলেখযােগ্য ধারাগুলাে নিম্নরূপ
১। মদিনা সনদে স্বাক্ষরকারী মুসলমান, ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিকসহ সব সম্প্রদায় একটি সাধারণ জাতি গঠন করবে এবং সব সম্প্রদায় সমান নাগরিক অধিকার ভােগ করবে।
২ হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) নব গঠিত মদিনা প্রজাতন্ত্রের সভাপতি হবেন এবং পদাধিকার বলে তিনি মদিনার সর্বোচ্চ বিচারালয়ের সর্বময় কর্তা হবেন। বেকি
৩। সব নাগরিক পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা ভােগ করবে। কেউ কারাে ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।
৪। কেউ কুরাইশদের সঙ্গে বা অন্য কোনাে বহিঃশত্রুর সঙ্গে কোনাে প্রকার গােপন সন্ধি করতে পারবে না কিংবা মদিনাবাসীর বিরুদ্ধে কোনাে ষড়যন্ত্রে কুরাইশদের সাহায্য করতে পারবে না। কোনাে সম্প্রদায় মদিনা প্রজাতন্ত্রের স্বার্থের পরিপন্থী কোনাে কাজে লিপ্ত হতে পারবে না।
৫| সনদে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়ের কোনাে ব্যক্তি অপরাধ করলে তা ব্যক্তিগত অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। এ জন্য সম্প্রদায়কে দায়ী করা যাবে না।
৬। স্বাক্ষরকারী কোনাে সম্প্রদায়কে বহিঃশত্রু আক্রমণ করলে, সব সম্প্রদায়ের লােকেরা সমবেত প্রচেষ্টায় বহিঃশত্রুর আক্রমণ প্রতিহত করবে।
৭। বহিঃশত্রু আক্রমণে স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়সমূহ স্ব-স্ব যুদ্ধের ব্যয়ভার বহন করবে। যুদ্ধের খরচ কোনাে সম্প্রদায় বা গােষ্ঠী এককভাবে বহন করবে না। এতে যৌথ প্রচেষ্টার পথ সুদৃঢ় হয়।
৮। মদিনা নগরীকে পবিত্র বলে ঘােষণা করা হলাে এবং এখানে রক্তপাত, হত্যা, বলাৎকার ও অপরাধমূলক কাজ নিষিদ্ধ করা হলাে।
৯। দুর্বল ও অসহায়কে সার্বিকভাবে সাহায্য ও রক্ষা করতে হবে।
১০। অপরাধীকে উপযুক্ত শাস্তি ভােগ করতে হবে এবং সব ধরনের পাপী ও অপরাধীকে ঘৃণার চোখে দেখতে হবে।
১১। হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর পূর্ব অনুমতি ছাড়া মদিনাবাসী কারাে বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করতে পারবে না।
১২। নিজেদে মধ্যে বিরােধ দেখা দিলে হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর বিধান অনুযায়ী তা মীমাংসা করে দেবেন।
১৩। ইহুদিদের মিত্ররাও সমান নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা ভােগ করবে।
১৪। এই সনদের শর্ত ভঙ্গকারীর ওপর আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষিত হবে।
মদিনা সনদের গুরুত্ব নিচে উল্লেখ করা হল:
!) মদিনা সনদ মুসলমান ও অমুসলমান সম্প্রদায়কে ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ করে হিংসা, দ্বেষ ও কলহের অবসান ঘটায়। বিপদে একে অপরকে সাহায্য করার জন্য তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়। মদিনা রাষ্ট্র তথা ইসলামি প্রজাতন্ত্র সংরক্ষণে সবার সমভাবে যুদ্ধব্যয় বহন করার ব্যবস্থা, হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচায়ক।
- ii) মদিনা সনদ গােত্র প্রথার বিলােপসাধন করে ইসলামি ভ্রাতৃত্ববােধের ভিত্তিতে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর ওপর রাষ্ট্র, সমাজ ও ধর্মীয় অনুশাসন পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করে। অধ্যাপক পি.কে. হিডির মতে মদিনা প্রজাতন্ত্রই পরবর্তীকালে বৃহত্তম ইসলামি সাম্রাজ্যের ভিত্তিমূল স্থাপন করে।
iii) মদিনা সনদ মুসলমান ও অমুসলমানদের ধর্মে পূর্ণ স্বাধীনতা ও নিশ্চয়তা বিধান করে। মদিনার বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লােকেরা একে অপরের ধর্মে হস্তক্ষেপ করতে পারবে না। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এ শর্ত দ্বারা যে মহানুভবতা ও সহিষ্ণুতার পরিচয় দেন, তা বিশ্বের ইতিহাসে সত্যিই বিরল।
- iv) মদিনা সনদের মাধ্যমে মহানবি (সাঃ) দীর্ঘকালব্যাপী যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত আরব জাহানকে একতাবদ্ধ করার একটি মহৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত মদিনা নগরীর পুনর্গঠনের প্রয়াস পান। মদিনা সনদ প্রণীত হওয়ায় শতধাবিভক্ত মদিনাবাসী শান্তি-শৃঙ্খলায় ফিরে পায়। জাতি, ধর্ম ও বর্ণ নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার ও কর্তব্য নির্ধারিত হয়। মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে সম্প্রীতি এ সনদের ফলেই গড়ে ওঠে।
উপসংহারঃ মদিনা সনদ ইসলামের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মহানবি (সাঃ) মদিনায় ইসলামি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বে একটি শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে মদিনার ইহুদি, খ্রিস্টান, পৌত্তলিক, আনসার ও মুহাজিরদের নিয়ে একটি বহুজাতিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করেন। আর এ কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের চুক্তিই হলাে ঐতিহাসিক মদিনা সনদ। এ সনদের মাধ্যমে মদিনাবাসী সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপিত হয়। উক্ত সংবিধানে সাম্যের মহান নীতি, আইনের শাসন, ধর্মের স্বাধীনতা ও ধর্মীয় সহিষ্ণুতা ঘােষণা করা হয়। সর্বোপরি এ সনদের মাধ্যমে ইসলামি রাষ্ট্রের ভিত্তি স্থাপিত হয়।
আরও দেখুনঃ
দাখিল 2021 কুরআন মাজিদ ও তাজভীদ ৪র্থ সপ্তাহ অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর। Dakhil পরীক্ষার্থী ব্যাচ- 2021