দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিরূপণ।

এসএসসি 2021 সালের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা অ্যাসাইনমেন্ট এর পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। আমরা ইতোমধ্যে আমাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বীমা ষষ্ঠ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন প্রকাশ করেছি। আজ উত্তর প্রকাশ করা হলো। যা আমাদের ওয়েবসাইটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলীর দ্বারা সমাধান তৈরি করে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশ করা হয়েছে। ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা আমাদের প্রকাশিত নমুনা উত্তরটি দেখে উত্তর তৈরি করে সর্বোচ্চ নম্বর পেতে পারেন। ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্র অ্যাসাইনমেন্টের এর উত্তর পেতে নিচের অংশে দেখুন।

এইচএসসি 2021 ষষ্ঠ সপ্তাহ ফিন্যান্স, ব্যাংকিং ও বীমা ২য় পত্র উত্তর এসাইনমেন্ট উত্তর

আমাদের প্রকাশিত আর্টিকেল এর শুরুতে ফিন্যান্স ব্যাংকিং ও বিমা দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন ছবি এবং তার নিচে উত্তর দেওয়া হল। ছবির নিচের অংশ থেকে উত্তর ডাউনলোড করে নেওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হলো।

অ্যাসাইনমেন্টঃ

দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মুদ্রা বাজার নিয়ন্ত্রণ এবং আন্তঃব্যাংকিং দেনাপাওনা নিষ্পত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভূমিকা নিরূপণ।

উত্তরঃ

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ধারণাঃ

কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলাে এমন একটি আর্থিক ব্রতিষ্ঠান, যা মুদ্রাবাজারে শীর্ষে অবস্থান করে দেশের ব্যাংকব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে থাকে। এটি সরকার কর্তৃক সর্বোচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, যা দেশে নােট প্রচলনের একচেটিয়া অধিকার ভােগ করে। অন্যান্য ব্যাংকের যাবতীয় নিয়ন্ত্রণ কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাহায্যে পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সরকারের যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরাসরি অর্থায়ন করে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পর্কে বিভিন্ন মতামতঃ, Vera Smith এর মতে, “কেন্দ্রীয় ব্যাংক হল এরূপ একটি ব্যাংক ব্যবস্থা যাতে একক ব্যাংক হিসেবে নােট প্রচলন এর সম্পূর্ণ অধিকর্তা।

” তাহলে এক কথায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্পর্কে বলতে পারি, ** সকল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রক ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল। মুদ্রা বাজারের অভিভাবক হিসেবে কাজ করে। **ব্যাংক সমূহের জন্য আর্থিক নীতির প্রধান করে পরিশেষে বলা যায়, যে আর্থিক প্রতিষ্ঠান দেশের ব্যাংকিং পিরামিডের শীর্ষে অবস্থান করে অন্য সব ব্যাংকের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে এবং দেশের কল্যাণে মুদ্রার প্রচলন, ঋণের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে, তাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলা হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আওতাঃ

একটা দেশের অর্থনীতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। দেশের অন্যান্য ব্যাংক নিয়ন্ত্রণ সহ যাবতীয় অর্থায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাপক। ব্যাংকটির আওতা অপেক্ষা করা হলঃ ০ নােট প্রচলনের একক অধিকার

০ মুদ্রামান সংরক্ষক

•সরকারের ব্যাংক

০ অর্থবাজারের অভিভাবক

•অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার ও নিয়ন্ত্রক

০ বৈদেশিক বিনিময়ের নিয়ন্ত্রক

•ও ঋণের শেষ আশ্রয়স্থল

কেন্দ্রীয় ব্যাংক এর আওতা গুলাে ব্যাখ্যা করা হলঃ

০ নােট প্রচলনের একক অধিকারঃ একটি দেশের নােট ও মুদ্রা প্রচলনের অধিকার ভােগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের অর্থনীতিতে যে পরিমাণ মুদ্রার প্রয়ােজন ঠিক সেই পরিমাণ মুদ্রা ইস্যু করে। আবার ইচ্ছামত ইস্যু করার ক্ষেত্রে কিছু জটিলতা রয়েছে। প্রয়ােজনের অতিরিক্ত মুদ্রা বাজারে প্রচলন করলে মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিতে পারে।

০ সরকারের ব্যাংকঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারের ব্যাংক হিসেবে কাজ করে। সরকারের যত অর্থায়নের প্রয়ােজন হয় সব ক্ষেত্রে সরকারকে অর্থ প্রদান করে। যাবতীয় বিনিয়ােগ সিদ্ধান্ত ক্ষেত্রেও সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বিভিন্ন ধরনের নির্দেশনা গ্রহণ করে।

০অন্যান্য ব্যাংকের ব্যাংকার ও নিয়ন্ত্রকঃ অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক সমূহের অথবা অভিভাবক হিসেবে কাজ করে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলাে কিভাবে, কত হারে আমানত গ্রহণ করবে এবং জনগণকে কত শতাংশ | সুদে ঋণ প্রদান করবে তা ব্যাংক কর্তৃক নির্ধারিত থাকে। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতিমালা গ্রহণ করে এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলাে সেগুলাে অনুসরণ করে। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংক ইচ্ছামত সুদ চার্জ করতে পারে না।

০ ঋণের শেষ আশ্রয়স্থলঃ যেকোনাে ব্যাংকের আর্থিক সঙ্কট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পর্যাপ্ত পরিমাণে ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। স্বল্প সুদহারে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্যান্য ব্যাংকের ঋণ দিয়ে থাকে। যার ফলে যে কোন ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। তাছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অনেকগুলাে নীতিমালা প্রদান করে থাকে। যারা প্রত্যেক ব্যাংককে অনুসরণ করতে হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাধারণ কার্যাবলীঃ

দেশের অভ্যন্তরে যাবতীয় কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাধারণ কার্যাবলী গুলাে ব্যাখ্যা করা হলঃ

নােট ও মুদ্রার প্রচলনঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কাজই হলাে দেশের জন্য প্রয়ােজনের আলােকে মুদ্রা প্রচলন করা। দেশের জনগণের চাহিদা, ব্যবসায়-বাণিজ্য এবং উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সাথে তাল মিলিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ কাজ করে থাকে।

মুদ্রার মান সংরক্ষণঃ বৈদেশিক বিনিময় হার নির্ধারণ ও নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের মুদ্রার মূল্যমান স্থিতিশীল রাখে এবং বৈদেশিক বাণিজ্যের সম্প্রসারণ ঘটায়।

সবর্ণমান সংরক্ষণঃ মুদ্রা সরবরাহ করার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বর্ণ বা স্বর্ণমানের অন্য একটি মুদ্রা রিজার্ভ হিসেবে রাখে। প্রচলিত নিয়মানুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সরবরাহ কৃত অর্থের বিপরীতে ৩০% স্বর্ণ বা রৌপ্য বা বৈদেশিক মূদ্রা রিজার্ভ নিয়ম রক্ষা করা [ বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য।

মুদ্রাবাজার পরিচালনাঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের স্বার্থে শক্তিশালী মুদ্রাবাজার গঠন, পরিচালনা এবং নিয়ন্ত্রণে সদা তৎপর থাকে। এ লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সহায়তা দেয় ও তাদের কার্যাবলি নিয়ন্ত্রণ করে।

ঋণ নিয়ন্ত্রণঃ

কোনাে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে ঋণের স্বল্পতা ও আধিক্য উভয়ই ক্ষতিকর। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন নীতি-কৌশল নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের আলােকে দেশে ঋণের পরিমাণ কাম্যস্তরে রাখার চেষ্টা করে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিঃ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতাকে ঋণ নিয়ন্ত্রণ বােঝায়। অর্থাৎ এটি এমন এক কৌশল, যা প্রয়ােগ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থনীতিতে ঋণের পরিমাণ কাম্য পর্যায় সীমিত রাখে। এ ঋণ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একক অধিকার ভােগ করে। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল ও বৈদেশিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারসাম্য আনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ঋণ নিয়ন্ত্রণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে।পদ্ধতি গুলাে হলঃ ঋণ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
সংখ্যাগত বা পরিমানগত পদ্ধতিঃ * ব্যাংক হারের পরিবর্তন * খােলা বাজার নীতি * রিজার্ভ অনুপাতের হ্রাস বৃদ্ধি গুণগত বা বিচারমূলক পদ্ধতিঃ * প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ * নৈতিক চাপ ও প্রচার * বিনিময় নিয়ন্ত্রণ
পরিমাণগত পদ্ধতিঃ
০ ব্যাংক হারের পরিবর্তনঃ ঋণের জোগান বাড়ানাের হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রচলিত ব্যাংকের হার কমিয়ে ফেলে। এর ফলে বাণিজিমজ ঘরে ঋণের জোগান বাড়। ব্যাংক হার কমলে বাজারে আবার সুদের হার কমে এবং ঋণের চাহিদা বাড়ে ও ঋণের প্রসার ঘটে। পক্ষান্তরে ঋণের পরিমাণ কমানাের প্রয়ােজন পড়লে কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরচলিত ব্যাংক হার বাড়াতে পারে। ০

খােলা বাজার নীতিঃ

ঋণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খােলা বাজারের সরাসরি ঋণপত্র ক্রয় বিক্রয় করে থাকেন। ঋণের পরিমাণ কমানাের প্রয়ােজন হলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খােলা বাজা ঋণপত্র বিক্রয় করে। জনসাধারণ ঋণপত্র ক্রয় করলে বাণিজ্যিক ব্যাংকে নগদ জমার পরিমাণ হ্রাস পায়। এর ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহের ঋণদান ক্ষমতা হ্রাস পায়। আবার ঋণের পরিমাণ বাড়াতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক খােলাবাজারে ঋণপত্র ক্রয় করে। এর ফলে আবার বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঘরে নগদ জমার পরিমাণ বাড়ে এবং ঋণ সৃষ্টির ক্ষমতা বাড়ে। এভাবে খােলাবাজারে ঋণপত্র ক্রয় ও বিক্রয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রয়ােজনমত ঋণের পরিমাণ।
রিজার্ভ অনুপাতের হ্রাস বৃদ্ধিঃ একটি দেশের অর্থনীতিতে যতগুলাে বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে সব ব্যাংক তাদের মূলধনের একটা নির্দিষ্ট অংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা রাখে। এটি হচ্ছে রিজার্ভ। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইলে রিজার্ভের হার পরিবর্তন করে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। বাজারে অর্থের যােগান বেড়ে গেলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের হাত বাড়িয়ে দেয় এবং এতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলাে পূর্বের তুলনায় কম ঋণ প্রদান করতে পারে।
০ প্রত্যক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণঃ কোন বাণিজ্যিক ব্যাংক প্রচলিত নিয়ম ভঙ্গ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঋণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। যেমন, অতিরিক্ত দন্ডনীয় সুদ চার্জ করা, অতিরিক্ত বিধিবদ্ধ জমা সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়া, ব্যাংক রেট বাড়িয়ে দেওয়া ও বিলবাট্টা করণে অতিরিক্ত সুদ ধার্য করা ইত্যাদি।

নিকাশ ঘরের গুরুত্বঃ

ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ড্রাফট ব গ্রাহকদের ইস্যুকৃত চেক এর মাধ্যমে আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির স্থল হলাে নিকাশ ঘর। এই আন্তঃব্যাংকিং দেনা-পাওনা নিষ্পত্তির ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রীয় ব্যাংক করে বলে একে নিকাশ ঘর বলা হয়। কার্যক্রমের ক্ষেত্রে নিকাশ ঘরের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।নিকাশ ঘরের গুরুত্বঃ
০ আমানত জামার ক্ষেত্রে সুবিধাঃ নিকাশ ঘর ব্যবস্থা সদস্য ব্যাংকগুলােকে স্বল্প নগদ আমানতেই কাজ পরিচালনায় সাহায্য করে। ফলে বেশি আমানত নগদ রাখতে হয় না। যা বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলােকে ঋণ সৃষ্টিতে সাহায্য করে। এর ফলে গ্রাহক পূর্বের তুলনায় বেশি পরিমাণ ঋণ নিতে পারবে।
দেনা-পাওনার দ্রুত ও সহজ নিস্পত্তিঃ নিকাশ ঘরের মাধ্যমে সদস্য ব্যাংকগুলাের পারস্পরিক দেনা-পাওনাগুলাে খুব সহজে এবং দ্রুততা ও দক্ষতার নিস্পত্তি করা যায়। ইহার আবর্তমানে আন্তঃব্যাংকিং লেনদেন নিত্তির কথা চিন্তাই করা যায় না। সুনির্দিষ্ট নীতিমালা অনুসরণের মাধ্যমে ব্যাংকগুলাে নিজেদের মধ্যে নিস্পত্তি করতে পারে।
সহজে অর্থ স্থানান্তরঃ এই ব্যবস্থায় ব্যাংকের গ্রাহকগণ অতি সহজে এবং অতি অল্প ঝুঁকিতে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যে কোন পরিমাণ টাকা চেকের মাধ্যমে স্থানান্তর করার সুযােগ পেয়ে থাকে। ইহাকে আমরা সহজ অর্থ স্থানান্তরের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হিসেবে বিবেচনা করি।
০ মুদ্রা বহনের ঝুকিহ্রাসঃ নগদ অর্থের আদান-প্রদানের বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায়। নিকাশ ঘরের মাধ্যমে অর্থ আদান-প্রদান করলে ক্যাশ বহন করা লাগেনা। এতে টাকা। হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। ঝুকিমুক্ত মধ্যে বহনের কার্যকর পদ্ধতি।
০ চেক ও বিনিময় বিলের সহজ লেনদেনঃ নিকাশ ঘরের মাধ্যমে ব্যাংক এর যাবতীয় য়ি ক্ষেত্রে যে কোন বিনিময় বিল ও চেক সহজে আদান-প্রদান করা যায়।

Check Also

বাংলাদেশের লােকশিল্পের বিলুপ্তির কারণ এবং লােকশিল্প সংরক্ষণের উপায়।

৮ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট এর নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয়  ৮ম শ্রেণীর …