সুভা গল্প অনুসরণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের আবেগ অনুভূতি অনুধাবন এবং তাদের প্রতি পরিবার ও সমাজের ভূমিকা নির্ধারণ।

এসএসসি 2022 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের প্রথম সপ্তাহের নির্ধারিত বাংলা অ্যাসাইনমেন্ট এর পরিপূর্ণ এবং সঠিক উত্তর প্রকাশিত হলো। যার প্রশ্ন বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল। প্রকাশিত অ্যাসাইনমেন্টের কাজ বা প্রশ্নে দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম পত্রের সুভা গল্প থেকে চারটি প্রশ্ন নির্ধারণ করা হয়েছে। আমাদের ওয়েবসাইটের বিশেষজ্ঞ শিক্ষকগণ উত্তর প্রশ্নের আলোকে সুভা গল্পের বই থেকে ধারণা নিয়ে একটি সুন্দর এবং পরিপূর্ণ উত্তর তৈরি করেছে। এসএসসি প্রথম সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট এর নির্ভুল এবং পরিপূর্ণ উত্তর পেতে আমাদের প্রকাশিত পোস্টটি শেষ পর্যন্ত পড়ুন।

আরও দেখুনঃ

SSC English Assignment Answer 2021 – [2nd-Week] দশম শ্রেণী ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান

এসএস সি বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান 2021। [২য়-সপ্তাহ] দশম শ্রেণির বিজ্ঞান উত্তর ডাউনলোড

এসএস সি বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর 2021। দশম শ্রেণী [২য়-সপ্তাহ] অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর

এসএস সি বাংলা ১ম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন 2021

এসএসসি বাংলা প্রথম পত্র এসাইনমেন্টের নিয়ে প্রকাশিত প্রশ্ন সংগ্রহ করে আমাদের ওয়েবসাইটে হুবহু প্রকাশ করা হলো। যাতে করে উক্ত প্রশ্নের আলোকে আপনারা এসাইনমেন্ট তৈরি করতে পারেন। এসএসসি বাংলা প্রথম পত্র অ্যাসাইনমেন্ট এর পিডিএফ প্রশ্ন পেতে এখানে ক্লিক করুন

অ্যাসাইনমেন্টঃ

সুভা গল্প অনুসরণে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের আবেগ অনুভূতি অনুধাবন এবং তাদের প্রতি পরিবার ও সমাজের ভূমিকা নির্ধারণ।

শিখনফল ও বিষয়বস্তুঃ

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে পারবে।

নির্দেশনা/সংকেতঃ

  1. বাকপ্রতিবন্ধী শোভা তার পরিবার ও সমাজ থেকে যে আচরণ পেয়েছে এর বিবরণ।
  2. সুভার প্রতি পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশিত ইতিবাচক আচরণ।
  3. তোমার চেনা জানা একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতা সমূহ।
  4. ‘একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংবেদনশীল ও অনুভূতিপ্রবণ মন আছে।’ মন্তব্যটি শোভাও তোমার চেনাজানা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্লেষণ।

এসএস সি ১ম সপ্তাহ বাংলা এসাইনমেন্ট উত্তর

প্রিয় এসএসসি 2022 সালের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বা বর্তমানে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীরা, আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এসএসসি বাংলা প্রথম পত্রের প্রথম সপ্তাহের নির্ধারিত প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করে নিজের অ্যাসাইনমেন্ট খাতায় লিখে পরবর্তীতে নিজ নিজ বিদ্যালয়ের শ্রেণী শিক্ষকের কাছে জমা দিতে হবে।

উত্তর

সুভা গল্পটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিখ্যাত গল্প গুচ্ছ থেকে সংকলিত হয়েছে। বাক প্রতিবন্ধী কিশোরী লেখোকের হৃদয় নিংড়ানো ভালোবাসা ও মমত্ববোধ এ গল্পটি অমর হয়ে আছে। শোভা কথা বলতে পারতো না। তার মা মনে করতেন এ তার নিয়তির দোষ। কিন্তু ও বাবা তাকে ভালোবাসতেন। আর কেউ তার সাথে মেশে না খেলে না। কিন্তু তার বিশাল এক আশ্রয়ের জগত আছে। যারা কথা বলতে পারে না সেই পোষা প্রাণীদের কাছে সে মুখর। তাদের সাথে এবং নির্বাক প্রকৃতির কাছে এসে এসে পায় মুক্তির আনন্দ। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের আবেগ অনুভূতি অনুধাবন এবং তাদের প্রতি পরিবার ও সমাজের ভূমিকা নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হলো।

বাকপ্রতিবন্ধী সুভার প্রতি তার পরিবার ও সমাজের আচরণঃ

আমাদের দেশে প্রতিবন্ধীরা কোনো না কোনোভাবে পরিবারের অবহেলার শিকার। তবে কোন পরিবারে বেশি। আবার কোন পরিবারের অবহেলার কারণে প্রতিবন্ধীতাকে অভিশাপ হিসেবে মেনে নিয়ে তারা অবহেলিত বঞ্চিত জীবন যাপনে বাধ্য হয়। অনেক সময় তাদের অনাহারে-অর্ধাহারে থেকে দিন পার করতে হয়। অধিকাংশ পরিবারেই প্রতিবন্ধীদের বোঝা হিসেবে গণ্য করা হয়। সুবা একজন বাকপ্রতিবন্ধী ছিল। বাকপ্রতিবন্ধী এই মেয়েকে নিজের মা পরিবারের বোঝা মনে করতেন। কর্নার এই অসম্পূর্ণতা লজ্জার কারন বলে মনে করতেন। তার মা তাকে নিজের গর্ভের কলঙ্কও মনে করতেন এবং তখন তার প্রতি বিরক্ত হতেন। পক্ষান্তরে সবার বাবা, বাণীকন্ঠ সুভাকে তার অন্য মেয়েদের অপেক্ষায় একটু বেশি ভালোবাসতেন। শোভা বাক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তার কোন বন্ধু বান্ধব ছিলনা। কেউ মিস্ত না এবং কথা বলতে চাইতো না। সুভার গ্রামের লোক তাকে নিন্দা করতে শুরু করেছিল।

সুভার প্রতি পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশিত ইতিবাচক আচরণঃ

প্রতিবন্ধীরা আমাদের সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদেরকে অবহেলায় পিছনে ফেলে রেখে এগিয়ে যাবে তা কখনোই কাম্য নয়। সমাজের অংশ হিসেবে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ব গুলো সঠিকভাবে পালন করলে প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয় বরং সম্পদে পরিণত হবে। সুবাকে বাক প্রতিবন্ধী হয় প্রথমত তার পরিবারকে তার পাশে দাঁড়াতে হত। তার মনোবল বৃদ্ধির জন্য তার মায়ের মানসিকতার পরিবর্তন আনা উচিত ছিল। তিনি সবার প্রতি যত্ন নিতে পারতেন ভালোবেসে আগলে রাখতে পারতেন। এছাড়াও সবার সমাজের অন্যান্য মানুষ সবার প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে পারতেন। তারা তাদের সন্তানদের উদ্বুদ্ধ করতে পারতেন শোভাকে বন্ধু হিসেবে গ্রহন করার জন্য। মোটকথা সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রতিবন্ধীদের ও সমানতালে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে।

আমার চেনা একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতা সমূহঃ

আমাদের আশেপাশে এরকম অনেক শিশু দেখা যায় যারা স্বাভাবিক শিশুদের মত করে জন্ম গ্রহণ হয় না। তাদের আচার-আচরণ ও দৈহিক গঠন স্বাভাবিকের তুলনায় ধীরে এবং অসামঞ্জস্যপূর্ণ সমস্যাগ্রস্ত। এদের মধ্যে অনেকেই আছেন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী অনেকে আবার বাকপ্রতিবন্ধী অনেকের হাতে পায়ের সমস্যা। আবার অনেকে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও রয়েছে। আমার দেখা একজন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এর আলোকে আমি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতাসমূহ তুলে ধরলাম। মেয়েটির নাম ছিল মাজেদা। তার বেড়ে ওঠার প্রতিবন্ধকতা সমূহ।
পারিবারিক প্রতিবন্ধকতাঃ
প্রথমত তার বেড়ে ওঠার প্রধান প্রতিবন্ধক ছিল তার পরিবার। কেননা তার পরিবারে তার অনেক সদস্যদের মত তার
পরিবারের মা-বাবা তার সাথে একই রকম আচরণ করত না। তারা ধরেই নিয়েছিল যে ওর নিয়তি এটা এবং ওর জীবন এভাবেই কাটবে। যার ফলে ওর স্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা বাধা সৃষ্টি হয়।
সামাজিক প্রতিবন্ধকতাঃ
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বেড়ে ওঠার দ্বিতীয় প্রতিবন্ধকতা হলো সমাজ। কারণ সামাজিক ধ্যান ধারণার উপর নির্ভর করে এই সব শিশুদের ভবিষ্যৎ। সমাজে যদি তাদেরকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ না করে তাহলে এ ধরনের মানুষের জীবন আরো বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসে।
সমবয়সীদের প্রতিবন্ধকতাঃ
বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে সমবয়সীরা আরেকটা প্রতিবন্ধকতা। দেখা যায় সমবয়সীরা তাদের সাথে মিশতে চায়না। এটিও তাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতা।
বৈষম্য ও কুসংস্কারঃ

সামাজিক বৈষম্য ও কুসংস্কার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সমাজে বিকশিত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। সমাজ পরিবার এবং সমাজের লোক এদের ভিতর কুসংস্কার থাকে যে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিবন্ধীরা একটি অভিশাপ এবং এটি পাপ কাজের শাস্তি। যার ফলে শিশুদের প্রতি ন্যায় সঙ্গত আচরণ করা হয় না এবং সবাই তাদের এড়িয়ে চলে। ফলে সমাজে মাজেদার মতো বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন প্রতিবন্ধী ছেলেমেয়েগুলোর বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

একজন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের সংবেদনশীল অনুভূতিপ্রবণ মন আছেঃ-

বিশ্লেষণঃ
সুভা গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র শুভ এবং আমার দেখাও শিশু মাজেদা এই দুজনই প্রতিবন্ধী হওয়া সত্ত্বেও তারা চাইত যে তার কিছু বন্ধুবান্ধব থাকুক। যারা তাদের সাথে ইশারায় গল্প করবে মনের ভাব প্রকাশ করবে। তাদেরও অনুভূতিপ্রবণ মন ছিল কেননা পরিবারের দুঃখের তারাও ব্যতীত হত। কেননা প্রকাশ না করতে পারলেও তারাও দুঃখ ব্যথা বেদনা হাসি-আনন্দ এগুলো মন থেকে বুঝতে পারত। সুভা গল্পের সবার দিকে তাকালে দেখা যায় যে। পরিবারের আদর যত্ন ভাগ্যে না দেখলেও সে প্রকৃতির সাথে বেড়ে উঠত।
প্রকৃতির সাথে সখ্য গড়ে ওঠার কারণে প্রকৃতি যেন তার সকল অভাব পূরণ করে দিত। যেন তার সাথে কথা বলত ভূপতির কলধ্বনি লোকের কলাহল মাঝির গান পাখির ডাক তরুর মর্মর সমস্ত চারদিকে চলাফেরা আন্দোলনের সাথে এক হয়ে সমুদ্র তরঙ্গের ন্যায় শোভার চিরুনি স্তব্ধ হৃদয় উপকূলের কাছে ভেঙে পড়তো। তার বন্ধুত্ব ছিল প্রাণীদের সাথে। মানুষের সাথে ভাবের বিনিময় না হলেও ভাষাহীন প্রাণী আর প্রকৃতির সাথে ঠিক হই ঋদ্ধ পূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলেছে সুভা। এইদিকে বাস্তব চরিত্র মাজেদার সাথে পরিবার সমাজ খারাপ ব্যবহার করলো মাজেদার মুখের কখনো হাসির কমতি ছিল না। তাকে দেখে মনে হত যেন সমাজের সবাই তাকে অবহেলা করলো প্রকৃতি সবকিছু তাকে আগলে ধরে তাকে চির সুখী করে দিয়েছে।

সকল পোস্টের আপডেট পেতে ‍নিচের ফেসবুক আইকনে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক পেইজে জয়েন করুন।

Check Also

প্রবাস বন্ধু রচনায় প্রতিফলিত সমাজ ও সংস্কৃতির পরিচয়। ১০ম শ্রেণি [৩য় সপ্তাহ] বাংলা

১০ম শ্রেণির বাংলা এসাইনমেন্ট এর নির্ভুল এবং পূর্ণাঙ্গ উত্তর প্রকাশ করা হলো। প্রিয়  ১০ম শ্রেণীর …